ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং তার স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মা এখন ফের শিরোনামে। দু'জনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও চাহাল এবং ধনশ্রী উভয়ের পক্ষ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে মাঝে মাঝে দুজনেই ইনস্টাগ্রামে রহস্যময় পোস্ট সামনে এসেছে। সেখান থেকেই এই অনুমান আরও বেড়েছে। এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে, দুই তারকার শেষ পোস্ট নিয়ে।
কী পোস্ট করেছেন চাহাল ও ধনশ্রী?
আবারও চাহাল ও ধনশ্রী ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন। প্রথমে চাহাল লিখেছিলেন, 'ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছে। কল্পনার চেয়েও বেশি সাহায্য পেয়েছি।' পোস্টে চাহাল আরও লিখেছেন, 'আমি কেবল কল্পনা করতে পারি যে যখন সে আমাকে বাঁচিয়েছিল, তখন আমি এটি (বিপদ) সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না।' ভারতীয় লেগ স্পিনার চাহালা লিখেছেন, 'ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার সঙ্গে থাকার জন্য, এমনকি যখন আমি জানি না যে তুমি আমার সঙ্গে আছোI'
৬০ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছেন ধনশ্রী?
গত কয়েকদিন ধরে একটি গুজব ভাইরাল হচ্ছে। বলা হয়েছিল যে বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণ হিসেবে ধনশ্রী চাহালের কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। এখন ধনশ্রীর পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
চাহালের পোস্টের ঠিক এক ঘন্টা পরে, ধনশ্রী তার ইন্সটা স্টোরিতে লিখেছিলেন, 'স্ট্রেসড থেকে ব্লেসড। ঈশ্বর আমার দুশ্চিন্তাগুলোকে কীভাবে সুখে রূপান্তরিত করেছেন, তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না।' ধনশ্রী আরও লিখেছেন, 'যদি তুমি কোন কিছু নিয়ে টেনশনে থাকো, তাহলে জেনে রাখো যে তোমার কাছে একটা পছন্দ আছে। তুমি হয় টেনশন নিতে পারো, নয়তো ঈশ্বরের আশ্রয় নিতে পারো। ঈশ্বর আপনার ভালোর জন্য একসঙ্গে সবকিছু করতে পারেন এই বিশ্বাসের মধ্যে শক্তি আছে।'
সূত্রের খবর এই জুটি দেড় বছর ধরে আলাদাই থাকেন। ডিভোর্সের খবরের পর একদিকে মানুষ খুঁজছে দুজনের মধ্যে কী হল যে বিয়ের ৪ বছর পর বিচ্ছেদ হচ্ছে। তাই কিছু লোক ধনশ্রী ভার্মাকে গোল্ড ডিগার বলে ট্রোল করছে। এখন একটি নতুন প্রতিবেদনে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের চমকপ্রদ কারণ প্রকাশ করা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আদালতে শুনানির সময়, ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্র সামনে এনেছিলেন যে তাঁরা গত ১৮ মাস ধরে একসঙ্গে বসবাস করছেন না। দুজনেই ১৮ মাসের সেপারেটেড থেকেছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পিছনে সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, দম্পতি স্বীকার করেছেন যে তাদের মধ্যে অ্যাডজাস্টমেন্ট ইস্যু ছিল অর্থাৎ তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার সমস্যা ছিল। যার কারণে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে পারছেন না।