এমনিতেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের। দীর্ঘদিন ধরেই টিম ইন্ডিয়ার বাইরে। চাহাল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের আগস্টে। এবার তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন চাহাল-ধনশ্রী।
কোন পক্ষই বিবৃতি দেয়নি
চাহাল ও ধনশ্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন রয়েছে। গুজবের মধ্যে, চাহাল-ধনশ্রী একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন।চাহালও ধনশ্রীর সঙ্গে সব ছবি সরিয়ে ফেলেন। ধনশ্রী চাহালকে আনফলো করেছেন, কিন্তু চাহালের সঙ্গে কোনো ছবি সরাননি। TOI পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ঘনিষ্ঠ সূত্র এই সংবাদপত্রকে জানিয়েছে যে বিবাহবিচ্ছেদের গুজব সত্য। সূত্র জানায়, 'ডিভোর্স অনিবার্য। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হওয়ার আগে এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।'
তবে দু'পক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। ফলে এখনও অবধি যা শোনা যাচ্ছে সেটা শুধুই জল্পনা। চার বছরের বিয়ে ভাঙছে যুজবেন্দ্র চাহাল ও সমাজ মাধ্যম প্রভাবী তথা নৃত্যশিল্পী ধনশ্রী বর্মার। যুজবেন্দ্র চাহালের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসকও বটে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরস্পরের সব ছবি মুছে ফেলেছেন ধনশ্রী ও চাহাল,সঙ্গে ইনস্টায় একে অপরকে আনফলো করেছেন।
নাচ শিখতে চেয়ে আলাপ চাহাল-ধনশ্রীর
দন্তচিকিৎসক ধনশ্রী নৃত্যশিল্পী হিসাবেও জনপ্রিয়। নিজস্ব নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে তাঁর। ধনশ্রীর কাছে নাচ শিখতে চেয়ে যোগাযোগ করেছিলেন যুজি। সেই সূত্রেই ধনশ্রীর আলাপ হয় ভারতীয় লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে। তারপর সেই আলাপে প্রেমের রং লাগে। ২০২৩ সালেই উঠেছিল বিচ্ছেদের জল্পনা। সেইসময় চাহালের পদবি ইনস্টা থেকে ছেঁটে ফেলেন ধনশ্রী। এরপর চাহাল ‘নতুন জীবন শুরু’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন সোশ্যালে। তখন অবশ্য ডিভোর্সের জল্পনাকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন চাহাল।
গত বছর বিচ্ছেদ হয় হার্দিক-নাতাশার
গত বছর সকলকে অবাক করে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন হার্দিক-নাতাশা। তাঁদের প্রেমের মেয়াদও বছর চারেকের। এবার কি সেই পথে হেঁটেই বিচ্ছেদের কথা জানাবেন যুজি-ধনশ্রী? সেটাই এখন দেখবার।