ধনশ্রী বর্মা অভিযোগ করেছিলেন বিয়ের ২ মাসের মধ্যেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, যুজবেন্দ্র তাঁকে ধোঁকা দিচ্ছে। সেই বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার চাহাল। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন তিনি। সঙ্গে এও জানালেন, তাঁর কাছে ধনশ্রীর অধ্যায় সম্পূর্ণ অতীত।
সম্প্রতি গুরগাঁওয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন চাহাল। সেখানে তাঁকে ধনশ্রীর অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, 'আমি একজন খেলোয়াড়। কখনও প্রতারণা করি না। আর বিয়ের ২ মাসের মধ্যে যদি বুঝে থাকে যে আমি ধোঁকা দিয়েছি তাহলে সম্পর্ক প্রায় সাড়ে চার বছর কীভাবে থাকল? আসলে এই অধ্য়ায়টা এখন আমার কাছে অতীত। এরকম পরিস্থিতি থেকে থাকলে সবার বেরিয়ে আসা উচিত।'
চাহাল নাম না করে ধনশ্রীকে আক্রমণ করেন। তিনি অতীত থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। অথচ তাঁকে কেউ কেউ সেই সম্পর্কে আটকে রাখতে চাইছেন বলেও উল্লেখ করেন স্পিনার। এও দাবি করেন, এখনও কেউ কেউ তাঁর নামে সংসার চালাচ্ছেন। এটা যে ধনশ্রীর পরিবারের দিকেই চাহাল ইঙ্গিত করছেন সেটাও কার্যত পরিষ্কার।
৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জানান, তিনি আর এই সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা চান না। বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক গল্প ফেঁদেছে। কিন্তু সবশেষে সত্য একটাই। সেটা হল, ফেলে আসা দিন এখন আমার কাছে অতীত। অধ্যায়টি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি এখন আমার জীবন ও খেলার উপর মনোযোগ দিচ্ছি। ওটাই লক্ষ্য।'
শোনা যায় চাহাল এখন আর জে মাহভাশের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, তিনি এখন একা থাকতে চান। বিয়ের কোনও প্ল্য়ান নেই। তবে এখন অনলাইন গেমিং ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার। জানান, 'আমি সব সময় অনলাইনে গেম খেলতে ভালোবাসি। ই গেমিং নিয়ে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের গানও শিগগিরই প্রকাশিত হবে।'
ধনশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ভালো আছেন বলেও দাবি করেন। জানান, 'আমি এখন খেলায় মনোযোগ দিয়েছি। আমার মা খুব ভালো আছে। আমিও খুশি। যখনই মন খারাপ করে আমি হনুমান চালিশা শুনি। প্রতিটি ম্যাচের আগে শুনি। এতে আমি শক্তি পাই। মনোযোগ বাড়ে।'
২০২০ সালে ধনশ্রীর সঙ্গে গুরুগ্রামে বিয়ে হয় যুজবেন্দ্র চাহালের। ২০২৫ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। তবে সম্পর্কে চিড় ধরে আগেই। সেই ২০২২ থেকেই আলাদাভাবে থাকছিলেন তাঁরা। বিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের জন্য ৪.৭৫ কোটি টাকা পান ধনশ্রী।