আইএসএল-এর (ISL) পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও (AFC Challenge League) বিদায়ের মুখে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আর্কাদাগের (Arkadag FK) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারের ফলে চাপ বাড়ল অস্কার ব্রুজোর (Oscar Bruzon) দলের। সেমিফাইনালে যেতে হলে পরের লেগে দুই গোল করতে হবে। ফিরতি লেগে গোল খেলে ব্যবধান আরও বাড়বে। বুধবার প্রধান্য নিয়ে খেললেও, আর্কাদাগের ডিফেন্সের সামনে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
১০ মিনিটেই গুরবানভের গোলে এগিয়ে যায় আর্কাদাগ। দারুণ ফিনিশ করেন এই মিডফিল্ডার। দলের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম গোল। মূলত হেক্টর ইউস্তের (Hector Yuste) মিস পাস থেকে বল পেয়ে যান আর্কাদাগ ফুটবলাররা। সেখান থেকে প্রায় বিনা বাধায় গোল করে যান গুরবানভ। সামনে লালচুংনুঙ্গা থাকলেও বল আটকাতে ব্যর্থ হন। ৪৫ মিনিটে দুর্দেইয়েভের সামনে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গেলেও গোল হয়নি। প্রভসুকান গিল সেই হেডার বাঁচিয়ে দেওয়ায়। সুযোগ এসে গিয়েছিল মেসি বাউলির সামনেও। তিনি শট নিতে কিছুটা সময় নেওয়ায় গোল হয়নি। প্রথমার্ধে দুই তিনবার ইস্টবেঙ্গলের দুর্গে হানা দিয়েছে আর্কাদাগ। বারেবারেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ এসেছিল আর্কাদাগের সামনে। বাসিমভের শট ক্রসবারে লেগে না ফিরলে চাপ বাড়ত লাল-হলুদের। ৭০ মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ক্যাপ্টেন সল ক্রেসপো ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন।
শেষদিকে ক্লেইটন সিলভাকে নামানো হলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি লাল-হলুদ। সে অর্থে সুযোগই তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তারা। বল পায়ে রাখলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখান থেকে গোল হওয়ার মতো পরিস্থিতিই হয়নি। ইনজুরি টাইমে বিষ্ণু দারুণ একটা ক্রস করেছিলেন। সুযোগ এসে গিয়েছিল সল ক্রেসপোর সামনে। তবে তিনি বলে শট করার আগেই তা ধরে নেন আর্কাদাগের গোলকিপার চারিয়ুভ রসুল। গোটা ম্যাচেই দারুণ ফুটবল খেলেছেন মেসি বাউলি। তবে ইস্টবেঙ্গলের এই ফুটবলার সঙ্গী পাননি। আর সে কারণেই চাপে পড়তে হয়েছে তাঁকে।