Advertisement

East Bengal vs PFC Nasaf: নাসাফের কাছেও ৩ গোলে হার, কোয়ার্টার ফাইনালের আশা শেষ ইস্টবেঙ্গলের?

ড্র করলেই ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারতেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। সেখানে উজবেকিস্তানের নাসাফের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা কঠিন করে ফেলল তারা। গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারা, বা সুযোগ পেলেও সেখান থেকে কাজের কাজ করতে না পারাই মূলত সমস্যায় ফেলল তাঁদের। তাই এবার তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের উপর।

ইস্টবেঙ্গলইস্টবেঙ্গল
Aajtak Bangla
  • ইউহান,
  • 23 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:43 PM IST

ড্র করলেই ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারতেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। সেখানে উজবেকিস্তানের নাসাফের বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা কঠিন করে ফেলল তারা। গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারা, বা সুযোগ পেলেও সেখান থেকে কাজের কাজ করতে না পারাই মূলত সমস্যায় ফেলল তাঁদের। তাই এবার তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের উপর।
   
১৮ মিনিটে দিওরাখন খাবিবুল্লাহর গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে ক্যাপ্টেন নিলুদফারের মাইনাসেই খোলে গোলের দরজা। হাল্কা ট্যাপ করেই বল জালে জড়ান নাসাফ স্ট্রাইকার খাবিবুল্লাহ। অফ সাইডের আবেদন হয়েছিল। রেফারি ভিএআর দেখে সেই আবেদন বাতিল করেন। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদের মেয়েরা।

এরপরে দুইবার ক্রস বার বাঁচিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। জারিনার শট ক্রস বারে লেগে ফেরে। পরের মিনিটেই ঘটে একই ঘটনা। এবার আরেক স্ট্রাইকার নিলুদফারের শটও বারে লেগে ফেরে। ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। মিডফিল্ড দখল হোক অথবা দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ সবেতেই টেক্কা দিয়েছে নাসাফ। পাশাপাশি পরিকল্পনার অভাবও ছিল স্পষ্ট।

৫২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পরিব্রত হিসেবে নামা জারিনার। বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে টোকা মেরে গোল করে যান তিনি। এমনিতেই ছন্নছাড়া ফুটবল, তার উপর দুই গোলের চাপ স্বাভাবিক ভাবেই আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল লাল-হলুদের মেয়েদের। 

তবে ৬০ মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ এসেছিল। নবাবীর বাড়ানো দারুণ থ্রু বল ধরে ফেলেছিলেন সৌম্য গুগুলোথ। একা গোলকিপারকে পেলেও বল জালে ঢোকাতে পারেননি তিনি। সেভ করে দেন নাসাফ গোলকিপার মাফতুনা। এরপর সুলঞ্জনা রাউলের শট সাইড নেটে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা চালালেও, পরিকল্পনার অভাব, স্কিলে পিছিয়ে থাকার কারণে বারবার ভুগতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। আর বারেবারে তার ফয়দা তুলতে থাকেন নাসাফের ফুটবলাররা। 

সুযোগ পেলেই  ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালাতে থাকেন তাঁরা। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। শেষ অবধি ৩ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়ে তারা। শেষ মুহূর্তে ভুল করে বসেন গোলকিপার পান্থোই। সেই সুযোগেই বাড়ে ব্যবধান।      

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement