
এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে টেন্ডার ডাকা হলেও আইএসএল করার মতো কোনও কর্পোরেটই এগিয়ে আসছে না। এই অবস্থায় ক্লাবগুলো তাকিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের দিকে। কিন্তু মঙ্গলবার সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, লিগ আয়োজনের জন্য সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে না।
কেন সরকার টাকা বরাদ্দ করতে পারবে না?
কারণ সরকার সেখানেই টাকা খরচ করতে পারে, যা বার্ষিক বাজেটের মধ্যে ধরা থাকে। শোনা যাচ্ছে, সরকারি তরফে ক্লাবগুলোকেই জানানো হয়েছে, তারা যেন অন্তত এ বারের মতো নিজেরা লিগের আয়োজন করে নেয়। এই নির্দেশই ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা আজ বুধবার আলোচনায় বসতে চলেছেন। এআইএফএফ দেশের এক নম্বর লিগের মালিক হলেও তাদের পক্ষেও লিগ আয়োজন সম্ভব নয়। কোনও স্পনসর ছাড়া। তাই ভরসা ক্লাবগুলোর তহবিলই।
লিগ আয়োজন করতে বাড়তি কত টাকা দিতে হবে ক্লাবগুলোকে?
লিগ আয়োজনের যা খরচ, তা ভাগাভাগি করে দিতে হবে ক্লাবদের। এটা কতটা বাস্তব, সেটা বোঝা যাবে আজ ক্লাবগুলোর সিইওদের মিটিংয়েই। এমনিতে টিম গড়া ও হোম ম্যাচ সংগঠন করতেই ক্লাবগুলোর খরচ খুব কমপক্ষে ৩০-৩৫ কোটি টাকা। এ বার লিগ সংগঠন করতে গেলে এর উপর কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা বাড়তি খরচ। কারণ সেই টাকাতেই হয় টিভিতে ম্যাচ দেখানোর প্রোডাকশন। রেফারিদের ফিজ় সহ যাবতীয় পুরস্কারের খরচ। একটা ম্যাচ পিছু প্রোডাকশনে খরচ ১৫ লক্ষ টাকা।
পিছিয়ে যেতে পারে বেশকিছু ক্লাব
এত বিশাল খরচ দেওয়া ক'টা ক্লাবের পক্ষে সম্ভব, তা নিয়ে প্রবল সংশয়। চেন্নাইয়েন, ওড়িশা, কেরালা ব্লাস্টার্স, মহমেডান স্পোর্টিং ও ইন্টার কাশী যে পিছিয়ে যাবে, তা নিশ্চিত। এফসি গোয়ারও এ বার কোনও বড় স্পনসর নেই। স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লি কতটা সমর্থন করবে, তা নিয়ে সংশয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ফান্ডিংয়ের পক্ষে হয়তো নেই। তাই তারা ক্লাব জোটেই ছিল না। ফলে ক্লাবগুলো যে এবারের আইএসএল নিশ্চিতভাবে আয়োজন করতে পারবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।