প্রথমার্ধে অন্তত তিনটে সহজ গোলের সুযোগ মিস। প্রথম ৪৫ মিনিটে ২ গোলে এগিয়ে যায় ক্যালকাটা কাস্টমস। এরপর সেই ২ গোল শোধ করে হার বাঁচায় ইস্টবেঙ্গল। তবে জয়সূচক গোল করতে পারেনি তারা। বিনো জর্জের দলের ভেদশক্তির অভাব সমস্যায় ফেলে দলকে। আক্রমণ তুলে আনলেও গোল আসেনি। ২-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের ৬ মিনিটে প্রথম গোল পাওয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সঞ্জীব ঘোষের ক্রস পেয়েও গোল করতে পারেননি আমন সিকে। তাঁর শট বাইরে চলে যায়। এরপর ১০ মিনিটে আবার সুযোগ পান সঞ্জীব। তাঁর শটও বাইরে চলে যায়। কুশ ছেত্রী প্রথমে কাস্টমস গোলকিপার অরনেন্দু দত্তকে একা পেয়েও বাইরে মারেন। ফিরতি বল ফাঁকা গোলে ঠেলতে ব্যর্থ জোসেফ জাস্টিন। ১৭ মিনিটে চাকু মান্ডির ট্রিপ ঠিক হয়নি। বক্সের মধ্যে ট্যাকেল করায় পেনাল্টি পায় কাস্টমস। শ্লোক তিওয়ারি গোল করতে ভুল করেননি। ২২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান শ্লোক। রিকি ঘরামির ক্রস থেকে জোরাল শটে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আনন্ধু ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে। ডান দিক থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন সায়ন। এরপর আনন্ধুই গোল করে ব্যবধান কমান। জেসিন টিকের সেন্টার থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন আনান্ধু। ৭১ মিনিটে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন সিনিয়র দলের ফুটবলার প্রভাত লাকড়া। চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত শটে গোল তাঁর। বাঁদিক থেকে নাসিবের বাড়ানো ক্রসে রোশলের ডামি, শট প্রভাত লাকড়ার।
এরপর একের পর এক আক্রমণ তুলে এনেও গোলমুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ। এই ম্যাচ জিততে পারলে লিগ শীর্ষে চলে যেতে পারত ক্যালকাটা কাস্টমস। তবে তা হল না বলে হতাশ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। দলের ডিফেন্স চিন্তায় রাখবে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জকে। বারবার গোল খাওয়ার প্রবণতা পরের দিকে সমস্যা আরও বাড়াতে পারে।