জয়ের হ্যাটট্রিক হল না। সায়ন্তন দাস রায়ের স্ট্র্যাটেজিতে নাস্তানাবুদ হতে হল ডেগি কার্ডজোর মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। দুই উইংকে আটকে দিয়েই ১ পয়েন্ট তুলে নিল জর্জ টেলিগ্রাফ। গতবারের হারের বদলা নেওয়া হল না মোহনবাগানের। শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রাখার পাশাপাশি সুযোগ পেলে আক্রমণেও উঠে এসেছে জর্জ।
বারকয়েক সবুজ-মেরুন রক্ষণে বিপদ তৈরি করলেও গোল আসেনি স্ট্রাইকার গৌতম কুঞ্জুদের মিসের কারণে। তা না হলে খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হত মোহনবাগানকে।
জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে দুই প্রান্ত থেকে চেনা ছন্দে আক্রমণ উঠে আসেনি। সালাউদ্দিনের অভাব বারবার টের পেয়েছেন ডেগি কার্ডোজো। শিবম মুন্ডারা একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি। সময় যত এগিয়েছে ততই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জর্জের। প্রথমার্ধের শেষদিকে ডিফেন্ডার বাড়িয়ে দিয়ে শাটার ডাউন করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন জর্জ কোচ সায়ন্তন দাস রায়। তাঁর পরিবর্ত গোলকিপার রাকেশ বাহাদুর এ ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ সেভ করেছেন। টং সিংরা বারবার সেন্টার তুলে দিলেও, তা সোজা এই রাকেশের দস্তানায় আশ্রয় নিয়েছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পর মোহনবাগানের পক্ষে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
একা অভিষেক কুঞ্জম মোহনবাগান ডিফেন্সে বড় কোনও সমস্যা তৈরি করতে না পারলেও, কিছু ক্ষেত্রে তিনি যদি আরও একটু সক্রিয় হতে পারতেন তা হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। শেষ দিকে পরিস্থিতি এমন হয় যে সবুজ-মেরুনের আক্রমণ এলেই ১০ জন মিলে ডিফেন্স করতে থাকে জর্জ। ফলে গোলের মুখ খোলা খুব সমস্যার হয়ে যাচ্ছিল।
এলোমেলো ফুটবলে মিডফিল্ডে ভিড় বাড়ালেও গোলের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। দুই ম্যাচ হারের পর দারুণ ভাবে ১ পয়েন্ট তুলে নিল জর্জ। ৮১ মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারত তারা। ক্রসবারে লেগে দীপকের ফ্রিকিক বেরিয়ে না গেলে এক পয়েন্টও পেতে পারত না মোহনবাগান। এরপর টং সিং-এর শটও বাইরে চলে যায়।