কোচিং করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল, সুরুচি সংঘের মহিলা দলে। তবে এবার ইতিহাসে নাম লেখালেন সুজাতা কর। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের দীর্ঘ ইতিহাস। সেই দীর্ঘ ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে কিনা মনে করা যাচ্ছে না। কারণ কলকাতা লিগে এবার যে ক্লাবগুলো অংশ নিচ্ছে, প্রত্যেকটির দায়িত্বে পুরুষ কোচ। ব্যতিক্রমী সাদার্ন সমিতি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
লিগের সিনিয়র পুরুষ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুজাতা কর। ভারতীয় মহিলা ফুটবল কোচিংয়ে চেনা মুখ হলেও ছেলেদের ফুটবলে এর আগে কোনও মহিলাকে কোচ হিসেবে দেখা যায়নি। এবারই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে দেশের সেরা মহিলা প্রশিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। শ্রীভূমি এফসির মহিলা দল হোক বা বাংলার মহিলা দল, সুজাতা সুনামের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন। দায়িত্বে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলেরও।
তবে সরাসরি ছেলেদের দলের হেড কোচ নয়, ২০২৩-২০২৪ মরসুমে সাদার্নের পুরুষ দলের সহকারী কোচ ছিলেন। অস্থায়ী কোচ হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। এবার নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে সুভাতা। সেই সঙ্গে, লিঙ্গ ভেদাভেদের উর্ধ্বে গিয়ে নতুন দিগন্ত খুলে গেল বাংলা ফুটবলেও।
যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই সুজাতা বলছেন, 'অতীতে সাদার্নের পুরুষ দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছি। তবে কোচ হিসেবে এই প্রথম। শুধু কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ কেন, দেশের অন্য কোনও বড় লিগে কোন মহিলা কোচ পুরুষ দলের দায়িত্ব সামলান কিনা জানা নেই। অথ্য উল্টোটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়। তাই সে দিক থেকে দেখতে গেলে, নতুন পথচলা। একজন পুরুষ কোচ যে ফরমেশনে ফুটবলারদের খেলাতে পারেন, আমিও তাই পারি। অবশ্যই বিষয়টা চ্যালেঞ্জের। এতজন পুরুষ কোচের সঙ্গে লড়াই।'
এবার এক ঝাঁক জুনিয়র ফুটবলার নিয়ে দল গড়েছে সাদান। তাই কাজটা কঠিন সুজাতাও জানেন। শুধু অবনমন বাঁচানোর অঙ্ক নয়, সুজাতা তাকাচ্ছেন সামনের দিকেই। বলছেন, 'উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকলে বাঁচা যায় না। অবশ্যই চেষ্টা করব সাদানকে পরের রাউন্ডে নিয়ে যেতে।' ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরুও করে দিয়েছে সাদার্ন।