২-১ গোলে দলের হার। রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ। তবুও ডায়মন্ড হারবার এফসিকে শুভেচ্ছা জানালেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ম্যাচ হারের পর, ডায়মন্ড হারবার কর্তা আকাশ বন্দোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান দেবব্রত। সঙ্গে ছিলেন কিবু ভিকুনাও। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা ট্রফি বাংলায় রাখার আর্জিও জানিয়ে গেলেন।
সেমিফাইনালে জিতে ডায়মন্ড হারবারের সামনে এবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিলে ট্রফি থাকবে বাংলায়। আর অভিষেকেই ট্রফি জেতার নজির গড়ে ফেলবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ক্লাব। আর সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গলের হারের পরও, কিবু ও ডায়মন্ড হারবার কর্তাদের ফাইনালটাও জিততে হবে বলে জানিয়ে গেলেন নীতু সরকার।
ফুটবলপ্রেমীদের আবেদন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তার
ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা বলেন, 'কোচ করবে চিন্তা। কোচ বললে তখন আমরা দিমিত্রিয়াস ডিয়ামান্টাকোসকে নিয়ে ভাবব। যে কোনও কারণেই হোক ডায়মন্ড হারবার ফাইনালে গেছে। আমি চাইব, সারা বাংলা ডায়মন্ড হারবারকে সাপোর্ট করুক। যে যার সাপোর্টার। আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছেও আবেদন করছি।'
রেফারির দিকে তোপ দেবব্রতর
দল বাজে খেলেছে মেনে নিলেও রেফারির দিকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না দেবব্রত। 'বাজে খেলেছি আজকে আমরা। ডায়মন্ড হারবার আমাদের থেকে বেশি ভালো ফুটবল খেলেছে। চান্স ফ্যাক্টর কাজ করে। চান্সগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের থেকে ওরা ভালো খেলেছে। এর বাইরে তো আর কিছু বলার নেই। আমরা যখনই খেলা শুরু করি, তখনই একটা কুণ্ডু! একটা অমুক, এইরকম চলে আসে। আমার কাছে ওর ডকুমেন্টসটা আছে। সেকেন্ড গোলটা কী হয়েছে? বলটা হাতে লাগল। আমাদের পেনাল্টি দিল না কেন? লাস্টে যেটা করল, ল্যাং মেরে ফেলে দিল। এনিওয়ে, এটার জন্য হেরেছি আমি বলব না। আমি বলব, আমরা খেলতে পারিনি, তাই হেরেছি।'
দারুণ ফুটবল ডায়মন্ডহারবারের
বুধবার, ডুরান্ড কাপের মেগা সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ড হারবার এফসি। যে ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে কার্যত, ইতিহাস রচনা করে ফেলল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। অসাধারণ ফুটবল উপহার দিলেন জবি জাস্টিন। গোল করে যেন মাঠের মধ্যেই নিজের পুরনো দল লাল হলুদকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে গেলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, সময় সবার আসে। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে আরেকটি গোল করেন কোর্টাজার। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আনোয়ার আলি। আর সেই ম্যাচের পরেই, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার।