ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই নজর কাড়লেন মহম্মদ রশিদ। প্যালেস্তাইনের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার শুধু নয়, নজর কাড়লেন বিপিন সিং, মাতন্ড রায়নারাও। বিপিন গোল পেলেন, পাশাপাশি করালেন আরও একটা গোল। ফলে ৫ গোলে জয় পেল লাল-হলুদ। মরসুমের প্রথম ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে জয় নিঃসন্দেহে স্বস্তি বাড়াবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। বুধবার সাউথ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রাধান্য নিয়েই যে লাল-হলুদ খেলবে সে ব্যাপারে সন্দেহ ছিল না। তবে নতুন ফুটবলাররা কেমন খেলেন সেটাই ছিল দেখার। সেখানে অন্তত প্রথম ম্যাচ হিসেবে বেশ সফল অস্কারের ছেলেরা।
কেমন খেললেন রশিদ?
গোল পেয়ে যেতে পারতেন। তাঁর একটা শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। পজিশনের হিসেবে তাঁর জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। নিজের দলের আক্রমণভাগকে যেমন নেতৃত্ব দিতে হয়, তেমনই বিপক্ষের আক্রমণকেও ভাঙতে হয়। গত মরসুমে এই সমস্যায় ভুগতে হয়েছে লাল-হলুদকে। তবে এবার প্রথম ম্যাচের নিরিখে বেশ ভাল লেগেছে রশিদের খেলা। গোল পেলে যেটা আরও ভাল হত।
বিপিনের দারুণ গোল
প্রথম ম্যাচে লাল-হলুদ জার্সিতে বেশ উজ্জ্বল বিপিন। বিশেষ করে পরিবর্ত হিসেবে নেমেও একটা গোল আর একটা অ্যাসিস্ট। যা প্রথম খেলতে নামা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই দারুণ ব্যাপার। এটা সত্যিই যে, সাউথ ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যাচের ভিত্তিতে কিছু বলে দেওয়া সঠিক নয়, তবে ভাল ছন্দে যে বিপিন আছেন তা বলে দেওয়াই যায়।
রক্ষণে ভরসা দিচ্ছেন মাতন্ড
রাজস্থানের প্রথম ফুটবলার হিসেবে আইএসএল খেলতে চলেছেন মাতন্ড রায়না। মরসুমের প্রথম ম্যাচে খুব বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে না হলেও, যতটুকু আক্রমণ করেছে সাউথ ইউনাইটেড, বিশেষ করে একেবারে প্রথম দিকে, বেশ জমাট লেগেছে রায়নাকে। প্রথম দিকে কিছুটা হলেও বিপক্ষকে স্পেস দিয়েছে লাল-হলুদ। সেখান থেকে গোল হতে পারত। তবে সেই বিপদ থেকে আনোয়ার ও রায়না জুটি লাল-হলুদকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন তা বলাই যায়।