দুরন্ত ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইএফএ শিল্ডেও দাপট লাল-হলুদের। শ্রিনীধী ডেকান এফসি-এর বিরুদ্ধে কল্যাণীতে ৪-০ গোলে দলের জয়, স্বস্তি দেবে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোকে। সব থেকে বড় কথা প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই গোল পেলেন জয় গুপ্তা। চারটে গোল এল চার জোন আলাদা ফুটবলারের থেকে।
২১ মিনিটে দিল্লির দলকে প্রথম ধাক্কা দেন জয় গুপ্তা। অভিষেক ম্যাচে ওতপাতা শিকারির মতো গোল করে যান ভারতীয় ফুটবলের এই তারকা। চলতি মরসুমে এই ভারতীয় ফুটবলার এফসি গোয়া থেকে লাল-হলুদ ব্রিগেডে যোগ দিয়েছেন। গোল পোস্টের একেবারে সামনে থেকে কোনও ভুলচুক করলেন না তিনি। প্রাথমিকভাবে মিগুয়েলের ফ্রি-কিক বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীনিধি ডেকানের গোলকিপার। কিন্তু, বলটা প্রতিহত হয়ে চলে আসে জয় গুপ্তার পায়ে। তিনি একেবারে সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন। নিখুঁত দক্ষতায় তিনি বিপক্ষের জালে বলটা জড়িয়ে দেন।
৩৬ মিনিটে মশালবাহিনীর স্কোর ডাবল করলেন মার্তন্ড রায়না। বিপিন সিংয়ের একটা ভাসানো ডেলিভারি থেকে নিখুঁত একটি ড্রপ হেড করলেন তিনি। হাফটাইমের ঠিক আগে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলের লিড এনে দিলেন তিনি। ডেকান গোলরক্ষক আদিলের পক্ষে বলটা ধরা একেবারেই সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে ব্যবধান আর না বাড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করে লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরও চাপ বাড়ায় লাল-হলুদ। এসে যায় আরও দুই গোল। যার প্রথমটা করেন সল ক্রেসপো। তবে শুধু নিজে গোল করা নয়, শেষ গোলের কারিগরও তিনিই। সল ক্রেসপোর কর্নার থেকে প্রথম পোস্টের বাইরে দাঁড়িয়ে করা ফ্লিক হেডারে বল জালে জড়ান জিকসন সিং।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেি শ্রিনীধী জানিয়ে দিয়েছিল, তরুণ ব্রিগেডকে তারা সুযোগ দেবেন। সাধ্যমত চেষ্টা করে গিয়েছেন তাঁরা। তবে তা ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ছিল না। আর সেটা স্কোরলাইন দেখলেই স্পষ্ট। আই লিগের ক্লাব হলেও, যে লড়াই তারা করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।