প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগে ব্যারাকপুরের স্টেডিয়ামে টালিগঞ্জ অগ্রিগামীকে ৭-১ গোলে হারিয়ে দিল বিনো জর্জের ছেলেরা। শুরুটা আহামরি না হলেও, যত সময় এগিয়েছে ততই একের পর এক গোল তুলে নিয়েছে লাল-হলুদ। প্রথমর্ধে শ্যামল বেসরা ও আমন সিকের গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে সায়ন বন্দোপাধ্যায়কে নামিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন বিনো জর্জ। ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা ফুটবলের এই মেগা প্রতিযোগিতা। প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting Club)। এই অবস্থায় জয় পেতে হত লাল-হলুদকে। আর সেটাই করে দেখালেন আমন সিকেরা।
খেলার ১২ মিনিটেই, শ্যামল বেসরার (Shyamal Besra) গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। খেলার ৪৩ মিনিটে, ফের গোল। এবার আমান সিকে গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লাল হলুদকে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হলেও খেলায় ফেরে টালিগঞ্জ। তাদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সঞ্জয় শর্মা (Sanjay Sharma)। দুর্দান্ত শটে গোল করেন তিনি। খেলার ৬৫ মিনিটে, পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করায় টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেন রেফারি।
সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেসিন টিকে। এতেও থামেনি লাল-হলুদ। তার কয়েক মুহূর্ত বাদে আবার গোল করেন তিনি। জেসিনের জোড়া গোলের সুবাদে, ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
পরিবর্ত হিসেবে নেমে খেলার ৭৯ মিনিটে, গোল করে টালিগঞ্জের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন বঙ্গ তনয় সুব্রত মুর্মূ (Subrata Murmu)। তারপরই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় টালিগঞ্জ।
শেষদিকে আরও দুটি গোল পায় লাল-হলুদ। পরিবর্ত হিসেবে নামা অনন্থু এবং সায়ন ব্যানার্জি, দুজনেই একটি করে গোল করেন। লাল-হলুদের ঝড়ে একটা সময়, টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ডিফেন্স বলে আর কিছু ছিল না। শেষপর্যন্ত, ৭-১ ব্যবধানে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে হারিয়ে কলকাতা লিগের শুরুতেই বড় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল।