তারকা স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভাকে ছেড়েই দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কয়েকদিন ধরেই কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। পয়লা বৈশাখ বারপুজোর দিনেই সেই ঝামেলা আরও বেড়েছিল। প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ক্লেইটন ও অস্কারের ঝামেলা। বুধবার অনুশীলনে এলেও তাঁকে হোটেলে ফিরে যেতে বলেন লাল-হলুদ কর্তারা। এরপরেই সরকারিভাবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।
রাতেই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জানিয়ে দেন, বুধবার ক্লেইটনকে অনুশীলনে নামতে দেওয়া হবে না। সেইমতোই বুধবার অনুশীলনে তাঁকে নামতে দেওয়া হয়নি। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার হোটেলে ফেরার পর ঘোষণা করে দেওয়া হয়, ইস্টবেঙ্গল দলে আর দেখা যাবে না ক্লেইটনকে। পয়লা বৈশাখের দিন শুধু নয়, তার আগে নিউটাউনের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের মাঠে প্রথমবার ঝামেলায় জড়ান ক্লেইটন ও অস্কার। তারপর ইস্টবেঙ্গল মাঠের ঘটনা। এর জেরেই ছিন্ন হল সম্পর্ক।
ইস্টবেঙ্গলের গতবারের সুপার কাপ জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ক্লেইটনের। চারদিন পরেই সুপার কাপ অভিযান শুরু করছে লাল-হলুদ। তার আগে ক্লেইটনের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের কাছে। গতবারের ক্যাপ্টেন এ মরসুমে একেবারেই ছন্দে নেই। গোল পাচ্ছেন না। সঙ্গে গোল করার সুযোগ পেলেও মিস করছেন। ফলে সমস্যা বাড়ছে। সেই কারণে তাঁকে পরের মরসুমে রাখা হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ এমনিতেই ছিল। আর এবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সম্পর্কও ছিন্ন হল।
ক্লেইটন সিলভা ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন ২০২২ সালে। সেই বছর ২৮ আগস্ট ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে খেলতে নেমে তিনি লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেক করেন। এর পরের ম্যাচে তিনি মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে গোল পান। সেটাই ছিল লাল হলুদ জার্সিতে ক্লেইটনের প্রথম গোল।
ক্লেইটন তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন। তাঁকে অধিনায়কও করা হয়। কিন্তু গত মরশুম থেকে তাঁর ফর্ম ক্রমাগত পড়তে থাকে। যেই ক্লেইটনের পায়ে বল পড়লে গোল নিশ্চিত ছিল সেই ক্লেইটন গোল থেকে দূরে সরতে থাকেন। এর পর কার্লোস কুয়াদ্রাত সরে দাঁড়ানোর পর ক্লেইটনের প্রথম একাদশে জায়গায় পাওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়। ২০২২-২৩ মরশুমে ক্লেইটন ২০টা ম্যাচ খেলে ১২টা গোল করেছিলেন। সেই ক্লেইটন ২০২৩-২৪ মরশুমে ২১টা ম্যাচ খেলে মাত্র ৮টা গোল করেন। বয়সও থাবা বসাচ্ছিল তাঁর পারফরম্যান্সে।