২০ এপ্রিল সুপার কাপ (Super Cup) ধরে রাখার লড়াইয়ে নামছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এর মধ্যেই প্রথমবারের মতো অনুশীলনে হাজির থাংবোই সিংটো (Thangboi Singto)। উল্লেখ্য, গত কয়েক সিজন ধরেই হায়দরাবাদ এফসির দায়িত্ব পালন করছিলেন এই ভারতীয় কোচ। এবার বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল থেকে।
শোনা যাচ্ছে, তরুণ প্রতিভা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে চলেছে এই প্রাক্তন কোচের। আর এদিন, দলের তিন ফুটবলার নন্দালুমার, জিকসন সিং ও নাওরেম মহেশ সিং-এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুটা সময় কোচ অস্কারের সঙ্গেও মিটিং সারেন সিংটো। সন্ধ্যার মধ্যেই খেলোয়াড় সহ অন্যান্য কর্মীরা ফিরে গেলেও নিজের মতো ব্যস্ত থাকলেন আরও বেশ কিছুটা সময়। বলতে গেলে একেবারে শেষে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এখন থেকেই যে বহু পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছেন সিংটো হয়তো সেটা বলাই চলে।
আগেরবার ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেললে ও এবার ছিটকে যেতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে। যা ভালোভাবে নেয়নি সমর্থকরা। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। পরাজিত হতে হয় টানা ছয়টি ম্যাচ। যারফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকতে হয়েছিল ময়দানের এই প্রধানকে।
পরবর্তীতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিবর্তে অস্কার ব্রুজনের হাতে ওঠে দলের দায়িত্ব। বলতে গেলে এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই জয়ের স্বাদ পায় মশাল ব্রিগেড। একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দল গুলিকে পরাজিত করে ছন্দে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। এমনকি এএফসির টুর্নামেন্টে ও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু চোট আঘাতের মতো সমস্যা যথেষ্ট প্রভাব ফেলে দলের মধ্যে। যারফলে একটা সময় সমর্থকরা সুপার সিক্সের আশা দেখতে শুরু করলে ও সেটা বজায় থাকেনি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগে টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর আটকে যেতে হয় সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসির কাছে।