পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪ গোল দিয়ে জয়। লাল-হলুদ গ্যালারি যখন উৎসবে মত্ত, তখনই হুইলচেয়ারে চেপে মাঠ ছাড়লেন নাওরেম মহেশ সিং। যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাচ শেষে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো জানান, চিন্তার কিছু নেই। আর তাতেই কিছুটা স্বস্তি ইস্টবেঙ্গলের।
কী হয়েছিল মহেশের?
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মহেশের মাথার পিছনে লেগেছিল। কিছুটা সময়ের জন্য সংজ্ঞাও হারিয়েছিলেন তারকা ফুটবলার। এমনটাই জানিয়েছেন অস্কার। আর সেই কারণেই, মহেশকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। অস্কার বলেন, 'প্রথমার্ধের শেষ দিকে মহেশের মাথার পিছনে লেগেছিল। ও বলছিল এই মুহূর্তে ও কিছু বুঝতে পারছে না। তাই আমরা কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে ওকে পরিবর্তন করি। ওর চোট তেমন গুরুতর নয়। আশা করি পরের ম্যাচের আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে অনুশীলনে নামবে মহেশ।'
দারুণ ভাবে ফিরল ইস্টবেঙ্গল
মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল পঞ্জাব এফসি। প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধে অন্য ইস্টবেঙ্গল। ত্রাতা হয়ে উঠলেন হিজাজি মাহের। ডিফেন্স থেকে উঠে এসে ক্লেইটনের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল। বিরতির এক মিনিটের মধ্যেই খেলায় ফেরার ইঙ্গিতটা স্পষ্ট হল। পিভি বিষ্ণুর ঠান্ডা মাথার ফিনিসে ম্যাচে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। খেলার বয়স তখন সবে ৫৪।
মাঝমাঠ থেকে মহম্মদ রাকিপের থেকে ক্রস পেয়েছিলেন বিষ্ণু। বল ধরে একটু ভেতরে ঢুকে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট মেরেছিলেন। পঞ্জাবের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে তা গোলে ঢুকে যায়। চাপের মুখে পঞ্জাবের ভুল এগিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। ডান দিক থেকে নন্দকুমারের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন সুরেশ মিতেই। তারও ছ’মিনিট পরে আবার বিষ্ণু-ম্যাজিকে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এ বার বাঁ দিক থেকে কেরলের ফুটবলারের ক্রসে প্রায় মাটিতে শুয়ে পড়ে হেডে গোল করেন ডেভিড লালানসাঙ্গা।