নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গল কোচিং স্টাফে একাধিক বদল। গত বছর কার্লেস কুয়াদ্রাতের পদত্যাগের পর অস্কার ব্রুজো যখন ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তিনি শুধু একজন বিদেশি ফিটনেস কোচ নিয়ে এসেছিলেন। বিদেশি সহকারী কোচ নিয়ে আসেননি। সেই বিদেশি ফিটনেস কোচ ছিলেন জ্যাভিয়ার স্যাঞ্চেজ।
বাকি মরসুমে কার্লেসের কোচিং টিমে থাকা বিদেশি গোলরক্ষক কোচকে নিয়েই কাজ চালান ব্রুজো। কিন্তু নতুন মরসুমে একজন স্প্যানিশ সহকারী কোচ আনছেন ব্রুজো। সূত্রের খবর তাঁর নতুন সহকারীর নাম আদ্রিয়ান মার্টিনেজ। বিনো জর্জ কাজ চালিয়ে যাবেন, ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের ভারতীয় সহকারী কোচ হিসেবে। গতবারের বিদেশি গোলরক্ষক কোচের জায়গায় ইস্টবেঙ্গল আগেই দায়িত্ব দিয়েছে প্রাক্তন বাঙালি গোলরক্ষক সন্দীপ নন্দীকে।
সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং টিমেও বেশকিছু রদবদল হচ্ছে নতুন মরসুমে। এখন দেখার নতুন কোচিং স্টাফদের নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে কতটা সাফল্য দিতে পারেন ব্রুজো। প্রথম থেকেই তাঁর উপর এবার যে প্রত্যাশার চাপ থাকবে তা ভালই জানেন ব্রুজো। গত মরসুমে অস্কারের বাছাই করা দলকে নিয়েই খেলতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। লাল-হলুদে এবারে একাধিক বদল এসেছে। প্রায় সমস্ত বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই কিছু বিদেশিকে সই করিয়েও ফেলেছে তারা। এবারে দেখার সাফল্য আসে কিনা।
সাম্প্রতিক কালে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য বলতে শুধুই সুপার কাপ জয়। আইএসএল-এ এখনও একবারও প্লে অফে যেতে পারেনি তারা। তবে এবার ফের সেই আশায় সমর্থকরা। অস্কার এবার নিজের মতো দল সাজানোর সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতীয় ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও নাম নয়, প্রাধান্য পাচ্ছে পারফরম্যান্স। আর সেটাই নতুন উদ্যমে ঝাঁপানোর সাহস যোগাচ্ছে বাকি ফুটবলারদের।
এ মরসুমে কলকাতা লিগেও শুরুটা বেশ ভাল করেছে ইস্টবেঙ্গল। সাত গোলে প্রথম ম্যাচে জেতার পর, এবার লক্ষ্য ধাপে ধাপে ৪০ তম লিগ খেতাবের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া। সেটা করতে পারলে, তরুণ ফুটবলাররা আরও উজ্জীবিত হবে। সাপ্লাই লাইনেও ঘাটতি থাকবে না।