এগিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র। লাল কার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের আশায় জল ঢাললেন ডিমানটাকোস। জিততেই হবে এমন ম্যাচে ড্র করে মাঠ ছাড়ল অস্কার ব্রুজোর দল। শেষ হল প্লে অফের সব আশা।
মেসি বাউলি গোল পান ম্যাচের ১১ মিনিটেই। নিজের দক্ষতায় বলটা পেনাল্টি বক্সের একটু আগে সল ক্রেসপোকে পাস দেন। পড়ে গিয়েও সঠিক জায়গায় দৌড়ে যাওয়া মেসিকে পাসটা ফেরত দেন মেসির শট গুরপ্রীত কিছু করার আগেই গোলে ঢোকে। এরপর নাওরেম মহেশ গোল করেও ফেলেছিলেন, দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোস অফসাইডে দাঁড়িয়ে না থাকলে, ব্যবধান বাড়াতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
হাফ টাইমের আগেই আরও এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন ডিমানটাকোস। নগুরেয়েরাকে মাথা দিয়ে ঠুঁশো মারেন ডিমানটাকোস। রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে দেন। এমনিতেই গোল করতে না পেরে সতীর্থদের দিকে হাত পা ছোঁড়া ছিল, এবার সরাসরি লাল কার্ড দেখে দলের বিপদ আরও বাড়ালেন তিনি। নিজের হতাশা বের করতে গিয়ে দলের ক্ষতি করছেন গ্রিক তারকা। এমন অভিযোগও উঠে আসছে। এর মধ্যে প্রথমার্ধেই আনোয়ার আলি চোট পেয়ে বাইরে চলে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।
পিভি বিষ্ণু একের পর এক মিস করেছেন। ৬২ মিনিটে সৌভিক চক্রবর্তীর দারুণ ভলি অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ৭৬ মিনিটে গোল পেতে পারতেন নতুন নামা ৮০ মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। তিন ফুটবলারের কেউই বল গোলে রাখতে পারেননি। দারুণ সেভ করেছেন গিল। ৮৫ মিনিতে ফের গোল করার সুযোগ পান সুনীল ছেত্রী। তাঁর শট বাইরে যায়। তবে ইনজুরি টাইমে নিশু কুমার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হাত লাগিয়ে ফেলায় পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। গোল করেন সুনীল।
এরপর আর গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ। এর জেরে প্লে অফ থেকে ছিটকে গেল অস্কারের দল।