ঘরের মাঠে চেন্নাইয়েনের বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হেরে প্লে অফের আশা শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। শনিবার ১৩ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় চেন্নাই। লাল-হলুদের ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় প্রথমার্ধেই ব্যবধান আরও বাড়ে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। দারুণ কিছু সুযোগ পেলেও, গোল করতে ব্যর্থ হন সল ক্রেসপোরা, রিচার্ড সেলিসরা।
১৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় চেন্নাই। তবে কনাড শিল্ড বা জর্ডন উইলমারের কৃতিত্বকে ছোট করা যাবে না। জর্ডনের থ্রু বল ধরে ব্যাক পাস করেন কনাড। সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিশু কুমারের পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। এরপর জর্ডন গিলের দারুণ শট গোল ইস্টবেঙ্গলের চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে চিমা চুকুর গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় চেন্নাইয়েন।
দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল আসেনি। সহজ সুযোগ নষ্ট করার রোগ না সারাই এই হারের অন্যতম কারণ। গোটা ম্যাচে হাত পা ছোড়া ছাড়া বিশেষ কিছু করতে দেখা যায়নি দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসকে। লালচুংনুঙ্গার দারুণ ফ্রি কিক থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন সল ক্রেসপো। তিনি পায়ে বল ঠেকালেও তা গোলে থাকেনি। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেও তিনি বিশেষ কিছু করতে পারেননি। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ইস্টবেঙ্গলের কাছে থাকলেও গোল করার মতো জায়গা করতে পারেননি।
মিস করেন সেলিস। ভেনেজুয়েলার তারকার খেলা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের দারুণ লাগলেও, এদিন নিষ্প্রভই ছিলেন তিনি। গোল করার সুযোগ পেলেও তা ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। মেসি বাউলি শেষদিকে নামলেও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেননি। গোল করার মতো জায়গা বার কয়েক তৈরি করলেও, কাজের কাজ হয়নি। শেষদিকে আনোয়ার আলি নেমে চেষ্টা করলেও তাঁর শট বাইরে চলে যায়। এর ফলে ফের হারের মুখ দেখতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
এই হারের ফলে ফের ১১ নম্বরেই নেমে গেল ইস্টবেঙ্গল। ১৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ১৮। আর ২০ ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়েনের পয়েন্ট ২১।