এমনিতেই এগিয়ে থেকেও বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ড্র ইস্টবেঙ্গলকে ছিটকে দিয়েছে প্লে অফের লড়াই থেকে। পাশাপাশি আনোয়ার আলির চোট নিয়ে সমস্যা আরও বেড়েছে লাল-হলুদের। এমনিতেই চোট আঘাতে জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে ম্যাচে তার মধ্যেই হ্যামস্ট্রিং-এ চোট লেগে যাওয়ায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দুটি ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা কম আনোয়ার আলির।
একের পর এক চোটে বিধ্বস্ত ইস্টবেঙ্গল
পরপর ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ক্লান্তি যে গ্রাস করবে সেটা বুঝেই লিগের ম্যাচ পেছানোর আবেদন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সে আবেদনে সাড়া দেয়নি এফএসডিএল। তার সঙ্গে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দুটি ম্যাচ। চোট সমস্যায় একাধিক ফুটবলার বাইরে। তবে এর মধ্যেও আশার, ক্লেইটন সিলভা এদিন মাঠে না নামলেও, পরিবর্তের তালিকায় ছিলেন। ফলে তিনি ফিট হয়ে উঠছেন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। বুধবার আর্কাদাগের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামতেও পারেন তিনি।
কেমন দল আর্কাদাগ?
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এএফসি প্রতিযোগিতার এই নয়া নিয়ম অনুসারে, কোনও শেষ ১৬-র লড়াই হবে না। আটটা দল গ্রুপ পর্যায় থেকে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের লড়াই কিন্তু একেবারে সহজ হবে না। তুর্কমেনিস্তানের দল এফকে আর্কাদাগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাদের। এই টুর্নামেন্টে বি গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করেছে তুর্কমেনিস্তানের এই শক্তিশালী ফুটবল দল। তারাও তিনটের মধ্যে জোড়া ম্য়াচে জয়লাভ করেছে। আল-আরাবি এবং আবদিশ-আতা কান্তের গোলে তারা কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে দুটো লেগ মিলিয়ে একটি হোম ম্য়াচ এবং একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। আগামী বছর ৫ মার্চ প্রথম লেগের ম্যাচ আয়োজন করা হবে। এই ম্য়াচটি কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজন করা হবে। ঠিক এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ১২ মার্চ আর্কাদাগ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্য়াচ আয়োজন করা হবে।
আর্কাদাগ ফুটবল ক্লাবের বিশেষত্ব হল যে এই দলে শুধুমাত্র তুর্কমেনিস্তানের ফুটবলাররাই খেলেন। শুধুমাত্র দুজন ফুটবলার ইলিয়া তামুরকিন (তুর্কমেনিস্তান এবং রাশিয়া) এবং অধিনায়ক আর্সলানমুরাদ আমানোভের (তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাখস্তান) দ্বৈত নাগরিকত্বের বাবা-মা রয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা অবশ্য তুর্কমেনিস্তানের নাগরিক।