জয়ের হ্যাটট্রিকে বেঁচে রইল প্লে অফের আশা। মনোজ মহম্মদের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পরে মেসি বাউলির গোলে হায়দরাবাদকে ঘরের মাঠে জিতে আট নম্বরে নিজেদের জায়গা আরও পোক্ত করল অস্কার ব্রুজোর দল। সবচেয়ে বড় কোথা প্রথমবার আইএসএল-এর ইতিহাসে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল লাল-হলুদ। তবে এখনও আরও দুই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি প্লে অফে যেতে হলে ইস্টবেঙ্গলকে নির্ভর করতে হবে অন্য দলগুলির উপর।
হায়দরাবাদ এফসি কোনও সহজ প্রতিপক্ষ নয়। গত সপ্তাহেই তারা মুম্বই সিটি এফসিকে গোল করতে দেয়নি। এদিনও ইস্টবেঙ্গলকে বেগ পেতে হয়েছে এদিন গোল পেতে। ৮৬ মিনিটে রিচার্ড সেলিসের কর্নার থেকে ফ্লিক হেড করেন ডেভিড। তা মনোজ মহম্মদের মাথায় লেগে সোজা গোলে চলে যায়। ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ান মেসি বাউলি। সল ক্রেসপোর ক্লিয়ারেন্স থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে একা গোলকিপার অর্ষদীপ সিংকে বোকা বানিয়ে গোল করে যান তারকা স্ট্রাইকার। এটা ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে তাঁর প্রথম গোল।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার পিভি বিষ্ণু চোট পেয়েছেন। যা কোচ অস্কার ব্রুঁজোকে আরও চিন্তায় ফেলেছে। তবে, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জয় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে লাল-হলুদ তাঁবুতে। এদিন শুরুটা যে খুব ভাল করেছিল ইস্টবেঙ্গল তা নয়। প্রথমার্ধে একটাও শট গোলে ছিল না। অন্যদিকে এডমিলসন কোররেয়ার শট বারে লেগে ফেরে। আনোয়ার আলিকে বেশ কয়েকবার ভুল করতেও দেখা যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্ড সেলিস মাঠে নামার পর, পুরো চেহারাই বদলে যায় ইস্টবেঙ্গলের। দুই প্রান্ত থেকে আক্তমণে উঠে আসতে থাকে লাল-হলুদ। গোলের সুযোগ আসে। মেসির শট বারের ভেতরের দিকে লেগে ফেরে। আর এটাই মেসির গোলের খিদে বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল। ডেভিড নেমে পড়ায় আক্রমণে বৈচিত্র আরও বাড়ে। সেটাই ইস্টবেঙ্গলকে গোল এনে দেয়।