East Bengal vs. Mohan Bagan: একে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। তার উপর আবার ডার্বি। কলকাতা ডার্বি নিয়ে তাই তুঙ্গে উত্তেজনা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে ঝড় তুলছেন সমর্থকরা। আর তা হবে না-ই বা কেন। প্রায় ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান।
এমন সময়েই সপাটে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য মোহনবাগান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর। শুক্রবার তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কলকাতা ডার্বিতে কারা জিতবে? এককথায়, সোজা টুটু বসু বললেন, 'আমরা জিতব, আবার কী বলব?' তাঁকে এক সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'মোহনবাগান জিতবে?' উত্তরে তেড়েফুঁড়ে উঠে টুটু বসু বলেন, 'জিতবে না? তুই চাইছিস না? তুই পুজো দে। পুজো দিয়েও কিছু হবে না।'
শুক্রবার সকালে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাতে তিনি এক সাংঘাতিক অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, ডুরান্ড কাপে পক্ষপাতদুষ্ট রেফারিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ,তাঁর দাবি অনুযায়ী, মোহনবাগানের প্রতি যেন রেফারি বেশি সদয়।
সেই বিষয়টি উল্লেখ করে টুটু বসুর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তিনি তখন বলেন, 'যে ক্লাব জেনারেল সেক্রেটারিকে অসম্মানজনক কথা বলতে পারে, তারপর ইস্টবেঙ্গল প্রসঙ্গে আমি কোনও কথাই বলতে চাই না। মাঠে হবে।'
একদিকে ইস্টবেঙ্গলের কাছে চ্যালেঞ্জ তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। অন্যদিকে মোহনবাগানের এটা সম্মান রক্ষার লড়াই। মরশুমের শুরুতেই, প্রথম ডার্বিতে জয়লাভ করেছিল লাল-হলুদ। নন্দকুমার শেখরের গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগানের কাছে আরও বেশি টেনশনের বিষয় হল, টানা আটটি ডার্বির পর তারা হেরে গিয়েছিল। এবার আজকের ডার্বিতেও যদি তারা জিততে না পারে, তাহলে বেশ ভালই মুখ পুড়বে সবুজ-মেরুন শিবিরের। আজকের ম্যাচ তাই বদলার।
এর আগে শেষবার ২০০৪ সালে লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে চন্দন দাসের জোড়া গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই ইতিহাস রক্ষা করার লড়াই আজ। দুই দলই এখনও পর্যন্ত ১৬ বার করে ডুরান্ড জিতেছে।