পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে এই ম্যাচটা জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। আর সেই ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোস। তাঁর গোলে ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অস্কার ব্রুজোর দলকে। শেষদিকে ব্যবধান কমলেও, ৩-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
১৫ মিনিটে দিমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৯ ম্যাচ পর গোল পেলেন গ্রিক স্ট্রাইকার। লালচুংনুঙ্গার হেড পঞ্জাব এফসির এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে আসে ডিমানটাকোসের পায়ে। বাঁদিক থেকে ঢুকে এসে গোল লক্ষ্য করে শট করেন ডিমানটাকোস। গোলকিপার রবি কুমারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল ঢুকে যায় গোলে।
এরপরেও সুযোগ এসে গিয়েছিল, ডিমানটাকোসের সামনে। পিভি বিষ্ণুর পাস থেকে মেসি বাউলির ক্রস সোজা এসে পড়ে ডিমানটাকোসের মাথায়। তিনি হেড করলেও তা বারে লেগে ফিরে আসে। না হলে, প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন নাওরেম মহেশ সিং। মেসি বাউলির ক্রস থেকে বল পান বিষ্ণু। তিনি শট করলেও, তা প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। ফিরতি বল পেয়ে তা শট করে গোল করে যান মহেশ। মহমেডান ম্যাচের পর ফের গোল পেলেন এই তারকা ফুটবলার।
৫৪ মিনিটে লালচুংনুঙ্গা শটে আরও বাড়ে ব্যবধান। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। আবারও ছন্নছাড়া পঞ্জাব ডিফেন্সের সুযোগ নেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। তাঁর হাফ টার্নে নেওয়া শট গোলে ঢুকে যায়। তার আগে একাধিক ফুটবলার শট নিলেও তা গোলে ঢোকেনি। ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে তা বেরিয়ে আসে। তবে লালের শট কেউই বাঁচাতে পারেননি। প্রথমার্ধে বল দখলের নিরিখে পঞ্জাব এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে পরপর দুই গোলের ধাক্কায় মুষড়ে পড়ে পঞ্জাব শিবির। গোটা ম্যাচের দখল নিতে শুরু করে লাল-হলুদ। সুযোগ পেয়েছিল পঞ্জাবও। লুকা মাজশেনের হেড দারুণ দক্ষতায় বাঁচান গিল। তবে পুল্গা ভিদালের গোলে ব্যবধান কিছুটা কমায় পঞ্জাব। ৬২ মিনিটে তাঁর জোরাল শট গোলে ঢোকে।
এই অবস্থা থেকে ম্যাচে ফেরা সহজ ছিল না পঞ্জাবের পক্ষে। আর সেটাই হয়েছে এদিন। দিল্লি থেকে এই ম্যাচ জিতে এখনও অঙ্কের বিচারে ছয় নম্বরে শেষ করার আশা জিইয়ে রাখল অস্কার ব্রুজোর দল। পাশাপাশি এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে নিল তারা।