
বৃহস্পতিবার গোয়ায় সুপার কাপের সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ম্যাচ ড্র করার ১ মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে নামছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর দীর্ঘ এই বিরতি ফুটবলারদের মনঃসংযোগে ব্যহত করবে? ম্যাচের দুইদিন আগে এ ব্যাপারে মুখ খুললেন কোচ অস্কার ব্রুজো।
বিয়ন্ড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্কার বলেন, 'আমরা আমাদের সঙ্গে কোনও নেতিবাচকতা নিয়ে আসতে চাই না। আমরা সব সময় ইতিবাচক থাকতে চাই। এটা ভালো বিষয় যে আমরা জুলাই থেকে অনুশীলন শুরু করেছি। মরসুমের শুরু থেকে আমরা ভালো খেলছি, যদিও কিছু জায়গায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে কম্বিনেশন তৈরি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সময় দেওয়াটা জরুরি ছিল এবং সবাই বুঝতে পারছে যে আমরা কতটা তৈরি খেতাবের জন্য লড়াই দিতে।'
সুপার কাপের প্রথম পর্বের পর পঞ্জাব এফসি দলে দুজন নতুন বিদেশিকে নিয়ে এসেছে। এটা কি কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলবে ইস্টবেঙ্গলকে? অস্কার যদিও তা মানতে নারাজ। বলেন, 'আমরা ওদের নাইজেরিয়ান লেফট উইঙ্গার সম্পর্কে অবগত। ওদের একজন ব্রাজিলিয়ান সেন্টার ব্যাক এসেছে। আমরা ওদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। ওরা সর্বশক্তি নিয়ে আসবে আমাদের সমস্যায় ফেলতো তবে এটা সত্যি যে, আমরা ওদের থেকে একটু হলেও এগিয়ে। তবে ওরা যথেষ্ট সংঘবদ্ধ ও লড়াকু দল। ওরা প্রতিপক্ষদের বেগ দিতে সক্ষম এবং গ্রুপ পর্বে তারই প্রমাণ দিয়েছে। ফলে আমরা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা ওদের থেকে একটু হলেও এগিয়ে। আমরা যদি খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমাদের জেতার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যাবে।'
সুপার কাপের পর ফের কবে ফুটবলাররা মাঠে নামবেন সে ব্যাপারে এখনও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। কবে থেকে আইএসএল শুরু হবে সেটাও এখনও জানা যাচ্ছে না। যদিও অস্কার এ ব্যাপারে এখনই কিছু ভাবতে নারাজ। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, 'আমরা ইতিবাচক থাকতে চাই এবং শুধুমাত্র সুপার কাপ নিয়ে ভাবছি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এআইএফএফ, এফএসডিএল ও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সমাধান নিয়ে আসেন, কারণ আমরা সবাই মুখিয়ে রয়েছি যে এরপর কী হতে চলেছে ভারতীয় ফুটবলে।'
সমর্থকদের বার্তা দিতে গিয়ে হুঙ্কার কোচের গলায়। অস্কার বলেন, 'আমরা দুটি প্রতিযোগিতা জিতিনি, ফলে আমাদের কাছে এটা বড় দায়িত্ব যে এই খেতাবটা আমরা জিতি এবং দেখিয়ে দিই যে সত্যিকারের ইস্টবেঙ্গল কাকে বলে।'