কলকাতা লিগ (Kolkata League) চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। ডায়মন্ডহারবার এফসি-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল খেলতে নামলেও নামেনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ওয়াকওভার পেয়ে গেল লাল-হলুদ। সে ক্ষেত্রে এ মরসুমের প্রথম ট্রফি আসল ইস্টবেঙ্গলে।
কেন ওয়াকওভার পেল ইস্টবেঙ্গল?
এই ম্যাচ নৈহাটিতে খেলার কথা থাকলেও, ইস্টবেঙ্গলের আপত্তির কথা জেনে তা কিশোর ভারতীতে স্থানান্তরিত করা হয়। তবুও খেলতে নারাজ ডায়মন্ড হারবার। আসলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কিবু ভিকুনার দলের আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ থাকায়, কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতেই চায়নি তারা। শুধু তাই নয়, আইএফএ চেষ্টায় রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হলেও, সমস্যা সমাধান হয়নি। খেলতে আসেনি ডায়মন্ড হারবার এফসি। এর আগেও, মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে ওয়াক ওভার পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
এ মরসুমে প্রথম ট্রফি পাবে ইস্টবেঙ্গল?
গত মরসুমে লাল-হলুদ ক্লাবে শুধুই এসেছিল সুপার কাপ। অনেক হতাশার মাঝেও যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিলো সমর্থকদের। এবারও আইএসএল-এর প্লে অফে যাওয়ার আশা নেই। হতাশ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্তাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ক্ষোভ দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারদের নিয়েও। এমন অবস্থায় কলকাতা লিগ অক্সিজেন দেবে বলে মনে হয় না। তবে দিনের পর দিন ব্যর্থতার পর, কলকাতা লিগ আসলে কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন ফ্যানরা। দলের হেডকোচ অস্কার ব্রুজো চেন্নাইয়েন ম্যাচ হারের পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আইএসএল প্লে অফের আশা শেষ। এবার তাদের লক্ষ্য এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ও সুপার কাপ।
কার্লেস কুয়াদ্রাত যা পারেননি সে কাজ করে দেখাতে পারেননি অস্কারও। চার বছরে একবারও আইএসএল প্লে অফে যেতে পারেনি লাল-হলুদ। তবে গত মরসুমে সুপার কাপ জিতেছিল। এবার সেই ট্রফি ধরে রাখতে না পারলে যে তাঁকে নিয়েও প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। সেটা ইস্টবেঙ্গল কোচ ভালভাবেই জানেন। সেই কারণেই মেসি বাউলিদের দলে এনে আগে থেকেই সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অস্কার। সেটা কতটা সফল হয় সেটাই দেখার।