ডার্বির (Kolkata Derby) আগের দিন দারুণ খবর ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের জন্য। ঘরের মাঠে মহিলাদের জাতীয় লিগে (IWL) প্রথম ম্যাচে কিকস্টার্ট কর্নাটকের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেল মশাল বাহিনী। গতবারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ইন্ডিয়ান উইমেন লিগের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েদের। শুক্রবার প্রথম দলে রেস্টি মানজিরি ছাড়া আর কোনও বিদেশি ছিলেন না ইস্টবেঙ্গল দলে। তাতেও জয় পেটে সমস্যা হয়নি লাল-হলুদের মেয়েদের।
ম্যাচের প্রথম গোল চলে আসে মাত্র ২৩ মিনিটে। ডানদিক থেকে ক্রস থেকে সুলঞ্জনার হেড ফেরে বারে লেগে। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন সন্ধিয়া। মরসুমের প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ ১-০ গোলেই শেষ হয়। বেশকিছু সুযোগ তৈরি করলেও, লাল-হলুদের জালে বল জড়াতে পারেনি কিকস্টার্ট।
ম্যাচের দ্বিতীয় গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই গোল পান পরিবর্ত হিসেবে নামা এলসাদাই অ্যাচেমপং। বাঁদিক থেকে পাস পান ঘানার স্ট্রাইকার এলসাদাই অ্যাচেমপং। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলকিপারকেও পরাস্ত করেন নবাগতা এই ফুটবলার। এরপর ফাঁকায় বল জালে জড়িয়ে দেন।
এর পরে ঘরের মাঠে শ্রীভূমি এফসি-র বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। ১৫ জানুয়ারি এই ম্যাচ। এর ঠিক পাঁচদিন পর ভুবনেশ্বরে নিতা ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে খেলবেন সুলঞ্জনারা। ২৮ তারিখ ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ ঘরের মাঠে সেতু এফসি-র বিরুদ্ধে। ২ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের বড় ম্যাচ গোকুলাম কেরালা এফসি-র বিরুদ্ধে। তিনবারের ভারতসেরা গোকুলামের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ কঠিন হবে লাল-হলুদের মেয়েদের জন্য। তবে এই ম্যাচ খেলতে কেরল যেতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
গোকুলামের বিরুদ্ধে ম্যাচ কোচ অ্যান্থনির জন্যও মর্যাদার লড়াই। কারণ তিনি এই ক্লাব ছেড়েই এবার যোগ দিয়েছেন কলকাতার ক্লাবে। মাত্র চার সপ্তাহ সময় পেয়েই দল গুছিয়েছেন অ্যান্থনি। তবে এসব অজুহাত না দিয়ে দলের ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। যদিও সব দলই তৈরি। ফলে লড়াই আরও কঠিন হবে বলেই মনে করেন অ্যান্থনি।