সোমবার বিকেলেই চলে এসেছিলেন শহরে। কলকাতায় পা রেখেই শহরের আবেগ বুঝতে পেরেছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ভিড়ের চাপে নাজেহাল হতে হলেও, মুখে হাসি নিয়েই শহর কলকাতা চষে বেড়ালেন লিওনেল মেসির সতীর্থ। মেসি কি আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা পরের বিশ্বকাপেও খেলবেন? মোহনবাগান মাঠে দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নের উত্তরই দিলেন।
পরের বিশ্বকাপেও খেলবেন মেসি?
বয়সের কারণে মনে করা হয়েছিল, কাতার বিশ্বকাপ খেলেই হয়ত অবসর নেবেন লিওনেল মেসি। তবে সেটা যে শুধুই জল্পনা ছিল, তার প্রমাণ রোজই দিচ্ছেন এলএম টেন। সম্প্রতি আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়া বা দেশের জার্সিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া অন্তত তাই বলছে। তবে মেসি যদি হঠাৎ অবসর নিয়ে নেন তাতেও সমস্যা হবে না আর্জেন্টিনার। মনে করেন মার্টিনেজ। মোহনবাগানের সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে দিবু বলেন, 'পরের বিশ্বকাপে মেসি না খেললেও সমস্যা হবে না, আমাদের দলে অনেক ভালো প্লেয়ার রয়েছে।'
কীভাবে বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে অতটা মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক শট সেভ করলেন মার্টিনেজ? আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা গোলরক্ষক বলেন, 'কোপা আমেরিকাতেও একই কাজ করেছি। তবে অনুশীলনে মেসির শট বাঁচানোর পরেই মনে হয়েছিল, যে কোনও ফুটবলরের স্পট কিক বাঁচিয়ে দিতে পারি। আর সেটাই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।'
নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পরে মোহনবাগান মাঠে ঢুকলেও, সমর্থকরা অপেক্ষায় ছিলেন। গোটা গ্যালারি ভরে গিয়েছিল মার্টিনেজকে দেখার জন্য। সবুজ-মেরুন জার্সিটা পরে তিনি যখন ঢুকলেন তখন 'দিবু দিবু' চিৎকারে কান পাতা দায়। আর্জেন্টিনার দিবু তখন যেন কলকাতার মানুষ। একে একে ঘুরে দেখলেন ক্লাব। লাইব্রেরি। তাঁর সঙ্গে তখন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এরপর ঢুকলেন মাঠে।
হুডখোলা জিপে ঘুরলেন গোটা মাঠ। দর্শকদের জন্য ছুড়লেন বল। মোহনবাগান গ্যালারিতে তখন সবুজ মেরুনের সঙ্গে মিলে মিশে গেল নীল সাদাও। মাইক হাতে বললেন, 'জয় মোহনবাগান।' আনন্দে ফেটে পড়ল গোটা গ্যালারি। তিনি যে, কলকাতার প্রেমে পড়েছেন তা বোঝা গেল তখনই। জানিয়ে দিলেন, 'আবার আসব। খুব ভালো লেগেছে।' এই শহর বারে বারে বরণ করে নিয়েছে সেরা ফুটবলারদের। মেসির ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম ম্যাচ কলকাতাতেই। পেলেও এসেছেন দুইবার। খেলেওছেন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। আর এবার শহরের ফুটবল প্রেমে মজলেন মার্টিনেজও।