
বৃহস্পতিবার বিকেলেই ফাইনালের রাস্তা পাকা করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর রাতে রবিবারের ফাইনালে উঠে গেল এফসি গোয়া। ঘরের মাঠে শিরোপা দখলের লড়াইয়ে সামনে অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই সিটি এফসিকে হারাল ২-১ গোলে। বিরতির সময় খেলার ফল ছিল ২-০। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করে মুম্বই। শেষ হাসি তোলা থাকে গোয়ার জন্যই।
২১ মিনিটে ব্রাইসনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এফসি গোয়া। তার ঠিক দু'মিনিট পরই গোল করে ব্যবধান বাড়ান ডেভিড টিমর। এফসি গোয়া ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ একটি গোল করে ব্যবধান কমান। পেনাল্টি পেলেও তা বাইরে মারেন লালরিনজুয়ালা ছাংতে। গোলকিপারের করা ফাউলের খেসারত দিতে হতে পারত গোয়াকে। তবে তা হয়নি ক্যাপ্টেন পেনাল্টি মিস করায়।
তেইশ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণে উঠে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়ে যান বিদেশি ফুটবলার ডেভিড টিমোর। মুম্বই সিটি এফসির গোলরক্ষক ফূর্বা লাচেনপা যথাসাধ্য চেষ্টা করে ও বল আটকাতে পারেননি। প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেরা।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৬ মিনিট সময় সংযুক্ত করা হলেও ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি আকাশ মিশ্রাদের পক্ষে। তাই শেষ পর্যন্ত একটি মাত্র গোলের ব্যবধানে হেরেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে যায় মুম্বাই সিটি।
ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে বেগ দেওয়ার জন্য তৈরি গোয়া। মানোলো থাকবেন তাদের ডাগ আউটে। ইস্টবেঙ্গল কিন্তু ফাইনালে পাচ্ছে না অস্কার ব্রুজোকে। এদিন শেষ চারের লড়াইয়ে লাল কার্ড দেখেন অস্কার। ফলে ফাইনালে হয়তো বিনো জর্জের হাতেই থাকবে ইস্টবেঙ্গলের রিমোট কন্ট্রোল। গ্যালারি থেকে নির্দেশ দেবেন অস্কার। এদিন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অস্কার উঠে যাওয়ার পরে লাল-হলুদ ফুটবলাররা আরও দায়িত্ববোধের পরিচয় দেন। দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে প্রাধান্য রেখে ম্যাচটা জিতে নেয়। ফাইনালেও মরিয়া ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে বলেই বিশ্বাস লাল-হলুদ ভক্তদের।