ক্রিশ্চিয়ান গ্রে নামটা কেউই চিনতেন না এতদিন। তিনি হঠাৎ বিখ্যাত হলেন কীভাবে? আসলে ফিরে আসার দারুণ গল্প লিখলেন নিউজিল্যান্ডের এই ফুটবলার। যা যে কোনও রূপকথাকেও হার মানাতে পারে। ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁর গোলে ভর করেই মারাদোনার ক্লাবকে ছিটকে দিল অকল্যান্ড সিটি।
দুই ম্যাচে ১৬ গোল খেয়েছে অকল্যান্ড সিটি
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১০ গোল খাওয়ার পরেও বেনফিকা দিয়েছিল ৬টি গোল। এরপরেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অকল্যান্ডের ক্লাব। এডিনসন কাভানির ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে এই ক্লাব। আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্সে একটা সময় খেলতেন দিয়েগো মারাদোনা। সেই ক্লাবকেই ছিটকে দিল অকল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের এই ক্লাব কোনও পেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে গড়া নয়। কেউ স্কুল টিচার তো কেউ কাজ করেন স্যাঁলোতে। কেউ আবার এখনও পড়াশুনো করছেন। তাঁরাই এবার বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে চেনাচ্ছেন নতুনভাবে। এর আগে ক্রিকেট বা রাগবিতে দারুণ সাফল্য পেলেও, ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ার মতো সাফাল্য পায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে এর মধ্যেই নতুন পালক জুড়ে গেল অকল্যান্ডের সিটির মুকুটে।
কীভাবে বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে ড্র করল অকল্যান্ড সিটি?
ম্যাচে গোলকিপার নাথান কাইল গ্যারোর আত্মঘাতী গোলে প্রথমেই পিছিয়ে পড়ে অকল্যান্ড। ২০ বছর বয়সি এই গোলকিপার আসলে একজন ছাত্র, অবসর সময়ে ফুটবল খেলেন। ৫২ মিনিটে জার্সন লাগোসের কর্নার থেকে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ান গ্রে। লাগোস একটি সেলুন চালান আর গ্রে পেশায় স্কুলশিক্ষক। গোটা টিমের প্রায় অধিকাংশ ফুটবলারই অপেশাদার। তাঁদের ‘বীরত্বে’ উৎসবে মেতেছে নিউজিল্যান্ড। গ্রে বলছেন, 'আমরা তো স্বেচ্ছাসেবক। টাকাপয়সা নেই। কিন্তু আজ আমরা প্রাপ্যসম্মান আদায় করে নিয়েছি। সবাই খুশি হওয়ায় আমরাও খুশি।'
ভারত যখন ফুটবলে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, তখনই নিউজিল্যান্ড ফুটবল একটা নজির হয়ে থাকল। পেশাদার ফুটবলারদের ছাড়াই কীভাবে একটা ফুটবল দলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মঞ্চে তুলে আনা যায়, সেটাই করে দেখাল অকল্যান্ড সিটি।