পুজোর পরই ঐতিহ্যবাহী শিল্ড আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে আইএফএ। শিল্ড আয়োজনের জন্য সময় চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল আইএফএ-র তরফে। শুক্রবারই সেই চিঠির জবাবে সবুজ সংকেত এসেছে ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার থেকে। এরপরই শিল্ড আয়োজন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে আইএফএ-র অন্দরে।
২০২১ সালে শেষবার আয়োজিত হয়েছিল শিল্ড
২০২১ সালে শেষবার আইএফএ শিল্ড আয়োজিত হয়েছে। তারপর থেকে নানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে প্রতিযোগিতা। এর আগেও বেশ কয়েকবার শিল্ড আয়োজনের সময় চেয়ে ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছে আইএফএ। প্রতিবারই মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছু জোটেনি। শুক্রবার ফেডারেশনের থেকে পাঠানো চিঠিতে আইএফএ-কে শিল্ড আয়োজনের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে কবে প্রতিযোগিতা করতে হবে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
এবছর ভারতীয় ফুটবলে হওয়া ডামাডোলের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে আইএসএল। ডিসেম্বরের আগে তা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২৫ অক্টোবর থেকে প্রায় একমাস ধরে চলবে সুপার কাপ। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরের শুরুর দিকে, সুপার কাপের আগে শিল্ড আয়োজন করতে চাইছে আইএফএ। সেক্ষেত্রে পুজোর পরই প্রতিযোগিতা শুরু করতে চায় তারা। আইএফএ সূত্রে খবর, শনিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন পদাধিকারীরা। তারপর বিভিন্ন ক্লাববে চিঠি দিয়ে শিল্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কতগুলি দল খেলার জন্য সম্মতি জানাচ্ছে, তা দেখেই প্রতিযোগিতার ফরম্যাট ও সূচি ঠিক করা হবে বলে খবর।
বিদেশি দল আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই
তবে এবছর আইএফএ শিল্ডে বিদেশি ক্লাব থাকার সম্ভাবনা কম। ফেডারশেন তাদের চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে, বিদেশ থেকে কোনও দল আসলে তাদের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে। আইএফএ-কে সবরকম সহায়তা করা হবে। তবে আইএফএ মনে করছে, হাতে থাকা সময়ের মধ্যে ভিসা করিয়ে বিদেশি দল আনা সম্ভব হবে না। তাই আপাতত দেশের প্রথমসারীর দলগুলির সঙ্গেই শিল্ড নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে তারা।
অন্যদিকে, শুক্রবার বর্ধমানে শুরু হল আইএফএ-ফুটবল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স কোচিং অ্যাকাডেমি। ১০৭ জন ছেলে ও ৪৮ জন মেয়ে ফুটবলার আপাতত এই অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, দুই সাংসদ কীর্তি আজাদ ও খোকন দাস, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব অনির্বাণ দত্ত, প্রাক্তন ফুটবলার অতনু ভট্টাচার্য ও দীপেন্দু বিশ্বাস সহ অন্যরা।