থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে লজ্জার হার ভারতের। দুই অর্ধে দুই গোল। যা এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে নামার আগে চিন্তায় রাখবে ভারতোয় দলকে। মানেলো মার্কেজের দলে সমস্যা আরও বাড়ে ম্যাচের আগে শুভাশিস বসু আহত হয়ে যাওয়ায়। ডিফেন্স নিয়ে যেমন চিন্তা থাকল, তেমনই চিন্তা থাকল গোল করার ক্ষেত্রেও।
সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে ফেরত এলেও ভারতের হার আটকাতে পারলেন না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে যায় ভারতীয় দল। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে থাইল্যান্ড। আট মিনিটেই গোল পায় থাইল্যান্ড। পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে জোড়াল শট করেন বেন ডেভিস। সেই শট আটকাতে পারেননি ভারতের গোলকিপার বিশাল কাইথ। গোল পাওয়ার পরেও, আক্রমণের চাপ একটুও কমায়নি থাইল্যান্ড। তবে ভারতীয় দল সেই চাপ সামলে আক্রমণে ফিরে আসতে থাকে।
স্ট্র্যাটেজিতে কিছুটা বদল এনেও সমস্যা সমাধান হয়নি। কিছুটা আক্রমণ বাড়লেও গোল করতে পারেননি ভারতের স্ট্রাইকাররা। মিডফিল্ডারদের সঙ্গে ডিফেন্ডারদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর সেটা সামাল দিতে লিস্টন কোলাসো কিছুটা নীচে নেমে ডিফেন্সকে সাহাক্য করতে থাকেন। অন্যদিকে অভিষেক সিং আবার আক্রমণে সাহায্য করতে থাকেন।
এই সময় বেশকিছু সুযোগ আসে ভারতের সামনে। তবে সবটাই ছিল ডানদিক থেকে। বাঁদিক থেকে প্রায় কোনও আক্রমণই উঠে আসছিল না। মনবীর সিং মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের হয়ে যতটা সক্রিয়, ততটাই নিষ্প্রভ লাগছিল বুধবারের ম্যাচে। আশিক ক্রুনিয়ান সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে, প্রথমার্ধেই সমতা ফেরাতে পারত ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে পোরামেত আর্জভিরাইের গোলে ভারতের হার নিশ্চিত হয়। এ ক্ষেত্রেও বক্সের কিছুটা বাইরে থেকেই শট করেছিলেন থাইল্যান্ডের ফুটবলার। তবে প্রশ্ন থাকছেই সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টি আবেদন নিয়ে। পরিস্কার পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ভারতীয় দল। তবে মানেলো মার্কেজের দল নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কিছুদিনের মধ্যেই হংকং-এর বিরুদ্ধে এএফফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারে খেলতে নামবে ভারত। তার আগে এই হার নিশ্চিত ভাবে চিন্তায় ফেলবে ভারতীয় দলকে।