আইএসএল নিয়ে নাটক অব্যহত। কবে থেকে ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় লিগ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যেই সিনিয়র দলের সমস্ত কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে বেশ কিছু ক্লাব। বৃহস্পতিবার সমস্ত ক্লাবকে নিয়ে আলোচনায় বসেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। জানিয়ে দেওয়া হয়, ডুরান্ড শেষ হওয়ার পরেই শুরু হবে সুপার কাপ।
অর্থাৎ, আইএসএল-এর পরে নয়, এবার সুপার কাপ হবে লিগের আগেই। জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আয়োজিত হতে পারে এবারের সুপার কাপ প্রতিযোগিতা। আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই সিনিয়র দলের সমস্ত ফুটবলার ও কোচিং স্টাফের মাইনে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি, ওড়িশা এফসি-র মতো দলগুলো। তবে সভাপতির আশ্বাস পেয়ে, সে পথ থেকে সরে এসেছে ক্লাবগুলো।
কেন জটিলতা আইএসএল নিয়ে?
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তি নবীকরণ না করায়, আইএসএল-এর পরবর্তী মরসুম এখন শুরু করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এমনটা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএল। এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিকভাবেই, একাধিক ক্লাব অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অনেক ফুটবলারের সঙ্গেই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের সর্বোচ্চ লিগ বড় প্রশ্নের মুখে।
মূলত, সংবিধান সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত, এআইএফএফ কোনওরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। আর সেই কারণেই, এফএসডিএল-এর সঙ্গে দিল্লীর ফুটবল হাউজ কোনও কাজই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। কার্যত, ফেডারেশনের তরফেই সম্প্রচার চুক্তি করতে দেরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমান চুক্তিটি শেষ হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। তবে তার আগে লিগ চালু না করলে, সমস্যা বাড়বে। দলগুলি যেমন ফুটবলারদের ধরে রাখতে পারবে না তেমনই পুরো ফুটবল ক্যালেন্ডারের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এ কথা বলাই যায় যে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এখন বিরাট সঙ্কটে।