আরও এক বছরের জন্য এআইএফএফ সভাপতি থাকছেন কল্যাণ চৌবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি ঘোষণা হবে না বলে জানিয়ে দিল আদালত। পাশাপাশি দ্রুত ফেডারেশনের সংবিধান তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে। ফলে আশা করা যায় সব ঠিক থাকলে ফিফার ব্যানও এড়াতে পারবে ভারতের ফুটবল।
শুক্রবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক ডেকে ফেডারেশনকে নতুন গঠনতন্ত্র কার্যকর করতে হবে। বিচারপতি এল পি এস নরসিংহ এবং বিচারপতি এ এস চন্দুরকরের বেঞ্চের রায়ের পর ফেডারেশনে অচলাবস্থা কাটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফিফার শাস্তি কি এড়াতে পারবে ভারত? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সম্ভবত ফিফার শাস্তিও এড়াতে পারবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ফেডারেশনের বর্তমান কমিটিই ২০২৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে। তার আগে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। ফিফা এবং এএফসি জানিয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করতে না পারলে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসিত করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তার আগেই নতুন গঠনতন্ত্র কার্যকর করতে হবে ফেডারেশন সভাপতিকে। ফলে ফিফার শাস্তি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে এআইএফএফের সামনে।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে মামলা চলছে। এর আগে অন্তর্বর্তী রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যতদিন না মামলার চূড়ান্ত রায়দান হচ্ছে ততদিন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার বর্তমান কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। তবে শুক্রবার চূড়ান্ত রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে বর্তমান কার্যকরী কমিটিই মেয়াদ শেষ পর্যন্ত ফেডারেশনের কাজকর্ম সামলাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও কর্তৃক প্রস্তুত গঠনতন্ত্রের খসড়ায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একজন ব্যক্তিকে তাঁর জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১২ বছর ফেডারেশনের পদে থাকার অনুমতি দেওয়া, টানা আট বছর পদে থাকার পর বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যাওয়ার মতো একাধিক বিষয়।
গঠনতন্ত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, ক্রীড়া সংস্থার পদাধিকারী হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালনের পর চার বছরের কুলিং অফ পিরিয়ড প্রয়োজন হবে। তবে, খসড়ায় আরও বলা হয়েছে যে, ৭০ বছর বয়স হয়ে গেলে কোনও ব্যক্তি ক্রীড়া সংস্থার পদে থাকতে পারবেন না। খসড়া অনুসারে, এআইএফএফ-এর কার্যনির্বাহী কমিটি ১৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। তাতে থাকবেন, একজন সভাপতি, দুজন সহ-সভাপতি (একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা), একজন কোষাধ্যক্ষ এবং আরও ১০ জন সদস্য। এই ১০ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ থাকবেন, যার মধ্যে দুজন মহিলা থাকবেন।