ভারতীয় দলের কোচ হয়েই হোঁচট খেতে হচ্ছে খালিদ জামিলকে। কারণ, জাতীয় দলের শিবিরের জন্য ফুটবলারদের ডেকে পাঠানো হলেও, ফুটবলারদের ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। দুই দলের ফুটবলার না ছাড়ার কারণ ভিন্ন হলেও, এতে ভারতীয় ফুটবল দলের যে সমস্যা হবে তা বলে দেওয়াই যায়।
কেন ফুটবলার ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান?
ইস্টবেঙ্গলের সামনে এখন ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচ জিতলে ফাইনালে চলে যাবে তারা। ফলে সামনে এই দুই বড় ম্যাচের জন্য, কোনও ফুটবলার ছাড়তে চাইছে না লাল-হলুদ শিবির। তিন জন ফুটবলারকে ভারতীয় দলের শিবিরে ডাকা হয়েছিল। তবে ডুরান্ডের জন্য ইস্টবেঙ্গল জাতীয় শিবিরে ছাড়ছে না আনোয়ার আলি, নাওরেম মাহেশ সিং ও জিকসন সিংকে। ২৩ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। ফলে ভারতীয় দলের প্রথম ম্যাচের আগেই তারা যোগ দিতে পারেন খালিদের দলে।
পাশাপাশি সামনেই এসিএলটু-তে খেলতে নামবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সে কারণে তাঁরাও সাত ফুটবলারকে ছাড়তে নারাজ। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, ১৬ সেপ্টেম্বর আহাল এফকের বিরুদ্ধে খেলতে হবে হোসে মলিনার ছেলেদের। এর মধ্যেই ২৯ অগাস্ট ভারতীয় দল মুখোমুখি হবে তাজাকিস্তানের। কাফা নেশনস কাপে এটাই ভারতের প্রথম ম্যাচ। ফলে এসিএল ২-তে খেলতে হলে মোহনবাগান প্লেয়ার ছাড়তে পারবে না।
প্রশ্ন হল, জাতীয় স্বার্থে কি কলকাতার দুই প্রধানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে ফেডারেশন? সে রাস্তাও খোলা নেই কল্যাণ চৌবেদের সামনে। আইএসএল শুরু না হওয়া নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ছাড়া বাকি সব দলই ফেডারেশনের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে এই দুই দলকে চাপ দিতে গেলে সেই ক্লাব জোটে সামিল হয়ে যেতে পারে কলকাতার দুই ক্লাবও।
ডার্বি হেরে ডুরান্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পর, আর হাল্কাভাবে নিতে নারাজ মোহনবাগান। এসিএল-২ টুর্নামেন্টে ভারতের পতাকা তাদের হাতে। ফলে ভাল কিছু করে, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সবুজ-মেরুন শিবির। সে কারণেই ফুটবলার না ছাড়ার সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের।