চিঠির পাল্টা এবার বিবৃতি। আইএসএলের (ISL) ভবিষ্যৎ নিয়ে শুক্রবার ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়ে এফএসডিএল (FSDL) তাদের বক্তব্য জানিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে দীর্ঘ বিবৃতি জারি করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারতীয় ফুটবল সংস্থা (AIFF)। তাদের বক্তব্য, পরবর্তী সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই তাকিয়ে ফেডারেশন।
এআইএফএফের সঙ্গে চলতি বছর ডিসেম্বরেই রাইটস এগ্রিমেন্ট (MRA) তৈরি হচ্ছে, ততদিন নতুন মরসুমে আইএসএলের পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। পাশাপাশি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও যে এমআরএ নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা তারা পায়নি, সেই কথারও উল্লেখ চিঠিতে রয়েছে। এরই পাল্টা বিবৃতিতে একেবারে শুরুতেই দু'পক্ষের মধ্যে কীভাবে কথাবার্তা এগিয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেয় এআইএফএফ।
এফএসডিএলের চক্তি শেষ হচ্ছে। যতদিন না নতুন মাস্টার এফএসডিএলের চুক্তি শেষ হচ্ছে। যতদিন না নতুন মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট (এমআরএ) তৈরি হচ্ছে, ততদিন নতুন মরসুমে আইএসএলের পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রতিযোগিতার আয়োজকরা।
ফেডারেশন জানিয়েছে, 'সময়মতোই এমআরএ নিয়ে এফএসডিএল-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এই নিয়ে গতবছর ২১ নভেম্বর থেকে যাবতীয় প্রক্রিয়ার শুরু। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ও ৫ মার্চ মুম্বইতে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেন। এরপর এমআরএ নিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া ফেডারেশনকে জানায় এফএসডিএল। এআইএফএফও ২১ এপ্রিল তাদের মতামত জানায়।'
এরপর ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সংবিধান সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত নতুন এমআরএ তৈরিতে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এমআরএ নিয়ে দু'পক্ষের আলোচনা এগোনো সম্ভব নয় বলে ফেডারেশনের বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে ফেডারেশনের বক্তব্য, 'ক্লাব, ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ থেকে সমর্থক, সবার জন্যই আইএসএলের গুরুত্ব আমরা বুঝি। পাশাপাশি আইনের মান্যতাও দিতে হবে। তাই আইএসএল চালু রাখতে ফেডারেশন ও স্টেকহোল্ডারদের যা যা করণীয়, তা করব।'