
আইএসএল ও আই লিগের ক্লাবগুলোর প্রস্তাব নাকচ করে দিল ফেডারেশন। দেশের শীর্ষ স্তরের লিগের মালিকানা, পরিচালনা ও পরিচালন কাঠামো সংক্রান্ত এই প্রস্তাবগুলি গ্রহণ করা হয়নি। ফেডারেশন জানিয়েছে, লিগ পরিচালনা ও ক্লাবগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিগুলি ভবিষ্যতে কীভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে এবং ক্লাবগুলির সঙ্গে কীভাবে কাজ করা হবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করবে।
এআইএফএফের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে লিগের সুষ্ঠু আয়োজন ও স্বচ্ছ পরিচালনার জন্য আরও বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা
ক্লাবদের প্রস্তাব পাশ হল না ফেডারেশনের সভায়। বেঙ্গল-গোয়া- কেরল তিন রাজ্যর সভাপতি-সচিব মিলে কমিটি গঠন হল। যাঁরা আইএসএলের ব্যাপারে কথা বলে আইএসএল চালু করবে।
শনিবার ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই প্রস্তাব উঠতেই আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলে দেন, এভাবে লিগের স্বত্ত্ব ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এই প্রস্তাব সংবিধান বিরোধী। এমন কোনও প্রস্তাব আনা হোক যাতে সংবিধান মেনে লিগ আয়োজন করা যায়। তাতে মোহনবাগানের প্রতিনিধি বিনয় চোপড়া বলেন, 'আমরা লিগ দখল করতে আসিনি। আইএসএল করার জন্য কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছিল না, তাই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ফেডারেশন তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করুক।'
ভাইচুং ভুটিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, 'তাহলে সবকিছুকে হয়তো শূন্য থেকে আবার শুরু করতে হবে। হয়তো আইএসএল নিয়ে আবার আলোচনা করতে হবে এবং পুরো পরিকল্পনাটা প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।' ভারতে ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাইচুং বলেন, 'আমি মনে করি ফুটবল খেলোয়াড়রা গ্রাম এবং ছোট শহর থেকে আসে এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই উৎসাহ এবং এই টুর্নামেন্টগুলো যেন টিকে থাকে। কিন্তু আমি বাংলা এবং উত্তর-পূর্বের গ্রামগুলোতে যা দেখছি, আমার মনে হয় বেশিরভাগ টুর্নামেন্টই সিনিয়রদের জন্য হচ্ছে। আমার মনে হয় জুনিয়রদের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। তাই গ্রামে যত টুর্নামেন্ট হয়, সেগুলো শুধু সিনিয়রদের জন্য না হয়ে যদি জুনিয়রদের জন্যও টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে আমার মনে হয় একটা প্রতিযোগিতা, একটা মান এবং সুযোগ তৈরি হবে। এবং আমার মনে হয় আমাদের অনেক জুনিয়র টুর্নামেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া দরকার। কোনো আইকনকে দিয়ে একটিও একাডেমি খোলা হয়নি। কোনো আইকনকে দিয়ে একটিও একাডেমি খোলা হয়নি।'
ইতিমধ্যেই অনেক অ্যাকাডেমি রয়েছে বলে মনে করেন ভাইচুং। বলেন, 'আমার মনে হয় ইতিমধ্যেই অনেক অ্যাকাডেমি আছে। আমাদের অ্যাকাডেমি ভারতের সবচেয়ে পুরনো অ্যাকাডেমি। ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে। এবং এই ১৫ বছরে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে একটি পয়সাও নেওয়া হয়নি।'