ভারতীয় ফুটবলে চরম ডামাডোল। মাস্টার রাইটস সই নিয়ে এফএসডিএল বনাম ফেডারেশনের দূরত্ব প্রবল। ফলে দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্ট আইএসএলও অনিশ্চিত। চুক্তি সই না হলে টাকা ইনভেস্ট করতে নারাজ এফএসডিএল। অন্যদিকে, ফেডারেশন নির্বিকার। ফুটবল মহল তাকিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।
এমন কঠিন সময়ে এবার জোট বাঁধতে চলেছেন আইএসএলের বিভিন্ন ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে বৈঠক চেয়ে দীর্ঘ চিঠিও দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এফসি গোয়া, কেরল ব্লাস্টার্স, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, বেঙ্গালুরু এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, পাঞ্জাব এফসি, ওড়িশা ও জামশেদপুর এফসির কর্তারা চিঠিতে সই করেছেন। চেন্নাইয়ান ও ইস্ট বেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত জানাবার আগে সময় চেয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। তারা আদৌ এই জোটে থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইস্টবেঙ্গলও এখনও জানায়নি।
চলতি মরসুমে প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ। ইতিমধ্যেই দল গঠনে মোটা ইনভেস্ট করে ফেলেছে বিভিন্ন ক্লাব। আইএসএল নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকায় সবচেয়ে সমস্যায় ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। এর আগে ঠিক ছিল আইএসএল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। কিন্তু আপাতত সবকিছুই অনিশ্চিত।
নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়া কার্যত অসম্ভব। কিন্তু আইএসএল না হলেও ফুটবলারদের বেতন দিতেই হবে। অর্থাৎ মোটা টাকা লোকসান নিশ্চিত। শুধু তাই নয়, একান্তই আইএসএল না হলে দল চালাতে আগ্রহী নয় একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। সূত্রের খবর, এফসি গোয়ার শীর্ষকর্তাদের উদ্যোগেই নড়েচড়ে বসেছেন কর্তারা। নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও সারা। ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে। কিন্তু কল্যাণ চৌবের ফেডারেশন যে বড়ই অসহায়। তাই সমাধানের রাস্তা বেরনো বেশ মুশকিল।
ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হওয়ার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। সেই তালিকায় যেমন পরিচিত কোচেরা ছিলেন, তেমনই ছিল বেশকিছু হেভিওয়েট নাম। কিন্তু, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় খালিদ জামিল ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং স্টেফান তারকোভিচ।