
আইএসএল হবেই। জট কাটার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। এফএসডিএল এবারে লিগ করা নিয়ে বিড না করায়, অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে এবার সেই জট কাটার ইঙ্গিত পাওয়া গেল শুক্রবার। ভারতের ফুটবল ফেডারেশন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সুপ্রিম কোর্টের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছিল।
গতকাল এই ব্যাপারে রায় দেওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল। ফলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দেয় সকলেই ছিলেন উদগ্রীব। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা। শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার এজলাসে জানানো হয়েছে তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন এবং আইএসএল যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
দুই সপ্তাহ সময় চাইল কেন্দ্র
সরকারের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়মন্ত্রক বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন এবং লিগ বন্ধ হবে না। মেহেতা বলেন, 'আইএসএল অবশ্যই হবে। কীভাবে হবে, কারা স্পনসর দেবে, অর্থের যোগান কীভাবে হবে—এই বিষয়গুলো সরকারই দেখবে।' একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন দেশের সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো খেলোয়াড়দের যেন কোনওভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়। তুষার মেহেতা বলেন, 'আইএসএল থেকে উপকৃত হন ফুটবলাররা। অর্থ লগ্নিকারীর অভাব হোক বা ক্লাব মালিকানার সমস্যা, কোনও কারণেই তাঁদের যেন ক্ষতি না হয়, সেটা সরকার নিশ্চিত করবে।' আইএসএলের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়। আইএসএল হবে, কিন্তু ২ সপ্তাহ সময় চেয়েছে কেন্দ্র।
বিচারপতি নরসিনহা জানান, 'বিচারপতি এল.নাগেশ্বর রাও যেসব সুপারিশ করেছিলেন, সেগুলো আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। আদালত সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান বের করতে চেষ্টা করুক। বিচারপতিরা বলেছেন, 'আপনারা নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনা করুন। আমরা পরে আবার বসব।'
তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকবে না
এদিকে এফএসডিএল-এর সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি ৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই শুনানি রাখার আবেদন জানানো হলে সলিসিটার জেনারেল সম্মতি দেন। দুই বিচারপতি জানান, সমস্যা নিষ্পত্তি করতে আদালতের যে কোনও দিন বসতে আপত্তি নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে বারবার জানানো হয়, স্পনসর বা ক্লাব মালিকের অভাবের কারণে কোনো খেলোয়াড় যেন অসুবিধায় না পড়ে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তবে সমস্ত পদক্ষেপই নেওয়া হবে ফিফার নিয়ম মেনে। কারন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফা বরদাস্ত করে না।
আদালত হস্তক্ষেপের ভাবমূর্তি তৈরি না হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক ছিল সকলে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, 'আমরা চাই না যেন আবার মনে হয় সরকার হস্তক্ষেপ করছে। বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতেই এই পদক্ষেপ।' বিচারপতিরা আরও বলেন, আগেই বিচারপতি নাগেশ্বর রাও যে সুপারিশগুলি করেছিলেন, আলোচনায় বসার সময় সেগুলি মাথায় রেখেই কাজ চলবে।