জেসন কামিন্স ও আপুইয়া রালতের দুরন্ত গোলে ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবগান সুপার জায়েন্ট। দুই ক্ষেত্রেই প্রণয়ের ভুলে গোল পায় সবুজ-মেরুন। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতল মোহনবাগান।
জেসন কামিন্স প্রচুর সুযোগ পেয়েছেন প্রথমার্ধে। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন। বারবার জামশেদপুরের শক্ত ডিফেন্সে আটকে যায় তাঁর প্রয়াস। কখনও অ্যালবিনো গোমস, কখনও আবার সৌরভ দাস। দুই প্রান্ত ধরে ক্রমাগত আক্রমণ করলেও গোল আসছিল না। ফলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের। লিস্টন কোলাসো কিছুটা অনভ্যস্ত জায়গায় খেলতে নেমে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল। বারবার বোঝা যাচ্ছিল মনবীর সিং-এর অভাব। আশিক ক্রুনিয়ানকে দেখে কখনই মনে হয়নি তিনি পুরোপুরি ফিট। তবে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছেন। সেটাই একমাত্র আশার কথা মোহনবাগানের পক্ষে।
৫০ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। প্রনয় হালদারের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পেয়ে যায় সবুজ মেরুন। সেখান থেকে গোল করেন জেসন কামিন্স। বাঁ দিকের কোনায় শট রাখান কামিন্স। বুঝতেই পারেননি অ্যালবিনো গোমজ। গোল খেয়ে যেতেই এগ্রিগেডে সমান হয় এই লড়াই। জামসেদপুর খালিদ জামিল বাধ্য হয়েই বদল করেন দলে। সুযোগ এসেছিল বোরহার কাছে। তবে তিনি গোল করতে না পারায় সমস্যা বাড়ে।
এমনিতেই তিন তারকাকে চাড়াই এই ম্যাচ খেলতে নেমছিলেন খালিদ। তবে যে ধরণের লড়াই তাঁর দল তুলে ধরে সেটা অনবদ্য। সেটা বলতেই হবে। বিশেষ করে প্রনয় হালদার। মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকার হাতে লেগেই পেনাল্টি হলেও, তাঁর লড়াই ভোলার নয়।শেষদিকে মলিনা কিছুটা বাধ্য হয়েই মনব্যয়ীরকে নামিয়ে দেন। তাতে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে। ৮৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অনিরুদ্ধ থাপা।
তবে চোট থেকে ফিরে আসা আপুইয়া রালতে দূর থেকে শট করে গোল করেন। সেই সুবাদেই জয় পায় মোহনবাগান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ফাইনাল হবে কলকাতায়।। সেই ম্যাচে জিতলেই ট্রেবেল হবে মোহনবাগানের।