ইস্টবেঙ্গল যে মরসুমের শুরুতে বেশ তৈরি তা বোঝা গেল ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ১ গোল খেতে হলেও, সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল লাল-হলুদ। যে পাঁচ কারণে দীর্ঘদিন পরে হারতে হতে হল হোসে মলিনার দলকে।
দুই উইঙে আধিপত্য
মোহনবাগান সমস্যায় পড়েছিল দুই উইং সেভাবে কাজ না করায়। পাসাং দর্জি তামাংকে ব্যবহার করে চমকে দিতে চেয়েছিলেন হোসে মলিনা তা বুমেরাং হয়েছে। প্রথমার্ধে তাঁকে প্রায় বোতলবন্দী করে ফেলেছিলেন লালচুংনুঙ্গা। প্রয়োজনে আনোয়ার আলিও আসছিলেন সাহায্য করতে। ফলে বারবার প্রায় একা পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আশিস রাইও সাহায্য করার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারেননি।
আশিসের ভুল
গোটা দলটাই যেন পুরোপুরি ফিট নন। সেটা হলে ওভাবে পেনাল্টির সুযোগ দিয়ে দিতেন না তিনি। একটু ভাগ্যবান বিপিন সিং। আদায় করে নিলেন পেনাল্টি। সেখান থেকে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে পুরোপুরি বল বিপিনের নিয়ন্ত্রণে না থাকায়, সুযোগ ছিল আশিসের সামনে। তবে একটু তাড়াহুড়ো করে দলকে সমস্যায় ফেলেন।
টম অলড্রেডের ভুল সিদ্ধান্ত
মোহনবাগান ডিফেন্ডার টম অলড্রেডের ভুলে দ্বিতীয় গোল খায় মোহনবাগান। সঠিক সময় ট্যাকেল করতে পারলে যা হত না। গত মরসুমে ভাল ছন্দে ছিলেন না ডিমানটাকোস। তবে এই মরসুমে শুরু থেকেই ছন্দে তিনি। এবার ডার্বিতে জোড়া গোল করে জাত চেনালেন।
ফিটনেস সমস্যা
মোহনবাগানের ফিটনেস যে সমস্যার তা স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ হোসে মলিনা। কিন্তু সে কারণে যে ম্যাচ হারতে হতে পারে তা বোধহয় বুঝতে পারেননি। পরিস্কার জানিয়েছিলেন, মাত্র দেড় সপ্তাহের প্রি সিজনে এমন ম্যাচ খেলা কঠিন। মোহনবাগান ফুটবলারদের প্রায় দেখাই গেল না। অনেককেই দেখা মনে হল, মেদ জমেছে। ফলে গতবারের স্বপ্নের ফর্ম কি এবারে আত্মতুষ্টি দিয়েছে? সেটা যদিও জানা যায়নি।
মস্তিস্কের লড়াইয়ে টেক্কা অস্কারের
অস্কার ব্রুজোকে প্রথম ডার্বিতে এসেই দলের হার দেখতে হয়েছিল। যেটা মরসুমের প্রথম ডার্বিতেই ফেরত দিয়ে দিলেন স্প্যানিশ কোচ। রশিদ না থাকায়, পাঁচ মিডফিল্ডার নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার। দেদার ফাউল করে মোহনবাগান মিডফিল্ডারদের খেলা তৈরিই করতে দেননি। হলুদ কার্ড দেখলেও, এ ম্যাচটা জেতার জন্য মরিয়া ছিল লাল-হলুদ।