ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল দলের অনুশীলনে গুপ্তচর? এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবারের অনুশীলনে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের টিম হোটেল থেকে ইস্টবেঙ্গল দলের অনুশীলন দেখার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির।
কলকাতা ডার্বির এখনও দুই দিন বাকি। তার আগেই গুপ্তচর সন্দেহে সরগরম কলকাতা ময়দান। বুধবার যুবভারতীর দুই নম্বর অনুশীলন মাঠে তখন জোরকদমে অনুশীলন করছে ইস্টবেঙ্গল। হঠাৎই দেখা গেল অনুর্ধ্ব-১৭ দলের ম্যানেজার অরুন জয়সওয়াল পাশের এক নম্বর অনুশীলন মাঠে হাজির হয়েছেন। সেখানে তখন অনুশীলন করছিল মহমেডান স্পোর্টিং। হঠাৎই দেখা গেল তিনি নিজের মোবাইল ফোনটি বার করে, ঠিক উল্টোদিকের বিলাসবহুল হোটেলের জানলায় কিছু দেখার চেষ্টা করছেন। তখনই সন্দেহ সকলের।
দেখা যায়, সেই হোটেলের দুটি আলাদা চেয়ারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু'জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন আবার, ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনের ভিডিও নিজের ফোনে তুলছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায়, লাল-হলুদের আরও কিছু সাপোর্ট স্টাফ এবং দলের ফটোগ্রাফার যেখানে এসে সেই হোটেলের জানলার দিয়ে ক্যামেরা তাক করে ছবি তুলছেন। শুধু তাই নয়, সেই ছবি দলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজোকে দেখানোও হয়।
বাইপাসের ধারের এই হোটেলে থাকেন মোহনবাগানের অধিকাংশ ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফরা। তাহলে কি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের অনুশীলনে কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করছেন। অনুশীলন শেষে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তাঁরা সন্দেহ করছেন মোহনবাগানের তরফ থেকে কেউ হয়তো তাদের অনুশীলনের ভিডিওগ্রাফি করছিলেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও অকাট্য প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এদিন আসন্ন ডার্বির আগে দলের তারকা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি অনুশীলনে এলেগু, দেখা গেল তিনি ক্রেপ ব্যান্ডেজ পরে রয়েছেন।