ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচে আপুইয়ার (Apuia Ralte) হাতে বল লেগেছিল। আর তার জেরে পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেই দাবি কি আদৌ ঠিক ছিল? এ ব্যাপারে মুখ খুললেন ফিফা রেফারি প্রাঞ্জল বন্দোপাধ্যায়। বইমেলায় আইএফএর স্টলে উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে এক সমর্থকের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মতামত জানান প্রাঞ্জল।
কি মত প্রাঞ্জলের?
বাংলার এই রেফারি বললেন, 'ওটা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল। একেবারেই পেনাল্টি ছিল না। অনেকেই হয়ত বলবেন যে বলটা গোলমুখী ছিল। এটা তো হাত দিয়ে আটকাল। কেন পেনাল্টির ডিসিশন দেওয়া হল না। ফলে এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন একটা বিষয়। তবে রেফারিদের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়মাবলী বেঁধে দেওয়া থাকে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি বলটা মারার মুহূর্তে হাতটা ইচ্ছাকৃতভাবে না বাড়ানো হয়, তাহলে সেটা পেনাল্টি দেওয়া যায় না। আর আপুইয়ার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছিল, বলটা ওর হাতে এসে লেগেছিল। ও বলে হাত ঠেকায়নি। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ছিল। ওটা পেনাল্টি তো ছিলই না। এমনকী, হ্যান্ডবলও দেওয়া যায় না।'
রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। শেষবার আবার ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতরেও তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে এসেছেন। সেই অভিযোগের তালিকায় ডার্বিতে পেনাল্টি না পাওয়ার অভিযোগ ছিল কিনা সেটা যদিও জানা যায়নি।
প্রতিদিনই বাংলা ক্রীড়াক্ষেত্রের একাধিক তারকা এই স্টলে পা রেখেছেন। সেই তালিকায় বাদ যাননি মন্ত্রীরাও। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভা মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার, সিএবি সভাপতি স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ ব্যাডমিন্টন আসোসিয়েশনের সভাপতি শেখর বিশ্বাস। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত এবং চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত তাঁদের সম্মান জানান।
উপস্থিত হয়েছেন কিংবদন্তি গ্র্যান্ড মাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া, বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন জাগলার বিপাশা বৈষ্ণব, আশিয়ান জয়ী ইস্টবেঙ্গল দলের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডগলাস ডি সিলভা।