
১৪ বছর আগে এই কলকাতাতেই ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। কেরিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে সেই কলকাতাতেই লিওনেল মেসিকে ঘিরে ব্যপক বিশৃঙ্খলা। চেয়ার ছোড়া, সিট ভাঙা, থেকে শুরু করে গোটা মাঠ জুড়ে দর্শকদের তাণ্ডব সব কিছুর সাক্ষী থাকল কলকাতা। বিরক্ত ল্মেসি নিজেও। আর এই ঘটনায় এবার বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কী বলল?
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার বলেছেন যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন অনেক ভক্ত মেসির খেলা দেখার বা মাঠে আরও বেশি সময় কাটানোর আশায় ছিলেন। তা না হওয়ায় হতাশ। তিনি আরও বলেন যে আয়োজকরা লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন যে টিকিট টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
আয়োজকদের আটক করা হয়েছে
পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জাভেদ শামীম নিশ্চিত করেছেন যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। শামীম বলেন, 'এই পর্যায়ে, আমরা বলতে পারছি না কে দায়ী। তদন্ত চলছে, এবং দোষী সাব্যস্ত যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিনি আরও বলেন যে স্টেডিয়ামের আশেপাশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, এবং তদন্তের অংশ হিসেবে মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে আটক করা হয়েছে।
ভক্তরা কী বললেন?
স্টেডিয়ামের ভেতরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার পর পুলিশের এই বিবৃতি সামনে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসির গোটা মাঠ ঘোরার প্ল্যান থাকলেও তা হয়নি। মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘিরে ফেলেন রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা, সেলিব্রিটি, তাদের পরিবার এবং বিপুল সংখ্যক পাপারাজ্জি। আর্জেন্টাইন গ্রেটকে ঘিরে ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তার সিকিউরিটি গার্ডরা তা বাতিল করেন। ফলে ফ্যানরা তাঁকে দেখতেই পাননি।
যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে মেসি আর বেশিক্ষণ মাঠে থাকবেন না, তখন ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ দ্রুত বেড়ে যায়। বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় ১০ মিনিটেরও কম সময় পরে মাঠ ছেড়ে চলে গেলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, যার ফলে জনতার একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে।
মেসির তিন দিনের ভারত সফরের প্রথম গন্তব্য ছিল কলকাতা, এরপর হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লিতে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়য়ায়। আয়োজকরা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং ভক্তরা প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরতের জন্য অপেক্ষা করছেন।