বয়স ৩৮ হয়ে গেলেও, তাঁকে আটকানো যে আজও কঠিন তা আরও একবার প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। বিপক্ষের ফুটবলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করার সেই ভিডিও দেখলে যেন মনে হয় এক ধাক্কায় বয়স কমেছে ১৮ বছর। নয়ত এই বয়সেও পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করা যায়?
মেজর লিগ সকারে (MLS) মন্ট্রিলের বিরুদ্ধে। তাঁর জোড়া গোলের একটা এল পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে। অন্যটা তিন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে। তাঁর জোড়া গোলে মন্ট্রিলকে ৪-১ হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি (Inter Miami)। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে (Fifa Club World Cup 2025) নিজের পুরনো দল প্যারিস সঁ জঁ-র বিরুদ্ধে হারের পর মেজর লিগ সকারে মেসি কামব্যাক করতে পারেন কিনা সেদিকে নজর ছিল প্রায় সকলের। আর সেই পরীক্ষায় দারুণভাবে সফল মেসি।
যদিও শুরুটা একেবারেই ভাল ছিল না মেসির জন্য। ২ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকার ভুলেই এগিয়ে যায় মন্ট্রিল। ব্যাক পাস করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন তিনি। প্রিন্স ওয়ুসু গোল করতে ভুল করেননি। হয়ত সেই কারণেই দ্বিগুণ তাগিদ নিয়ে খেলতে থাকেন মেসি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন মেসি। ডান প্রান্তে বল পান তিনি। কয়েক গজ দৌড়ে বক্সে ঢোকেন। তাঁর সামনে তখন ছিলেন তিন ডিফেন্ডার। তাঁদের মাঝখান দিয়ে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করেন তিনি।
ম্যাচের সেরা মুহূর্ত আসে দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটের মাথায়। মাঝমাঠের একটু ওপরে বল পেয়েছিলেন মেসি। হঠাৎ গতি বাড়িয়ে বক্সের দিকে এগোন তিনি। মন্ট্রিলের তিন ডিফেন্ডার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেসির গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি তাঁরা। বক্সে মেসির সামনে আরও দুই ডিফেন্ডার ছিলেন। তাঁদের দু’জনকেও ড্রিবল করে বেরিয়ে যান মেসি। তার পর গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল করেন লিয়ো। তাঁর গোল দেখে অবাক হয়ে যান সতীর্থেরাই। তাঁরা গিয়ে জড়িয়ে ধরেন মেসিকে।
২০০৭ সালে বার্সেলোনার হয়ে গেটাফের বিরুদ্ধে এমনই পাঁচ-ছ’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেছিলেন মেসি। ১৮ বছরের পুরনো সেই গোল আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন তিনি। মায়ামির হয়ে এই মরসুমে ১৪ ম্যাচে ১২ গোল করলেন মেসি। সামনের বছর ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে মেসি খেলবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে যে ভাবে এই বয়সেও মেসি প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে গোল করছেন তাতে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।