ইস্টবেঙ্গলের তথ্যচিত্র প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উদাহরন হিসেবে তুলে ধরলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার এফসিকে। টাকা শুধু নয়, ইনভেস্টর ইমামির পাশে দাঁড়িয়ে ভাল দল গড়তে হবে। ট্রফি ফেরত দিয়ে প্রতিদান দিতে হবে ইনভেস্টরদের। এই সময় মঞ্চে তখন উপস্থিত মোহনবাগানের বর্তমান আর প্রাক্তন সচিব।
তাঁদের দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'টুম্পাই, দেবাশিসদের কোনও সমস্যা নেই। মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার অনেক টাকা রয়েছে। দারুণ দল তৈরি করছে। ইস্টবেঙ্গলকেও সাফল্য পেতে গেলে বেছে বেছে ভালো ফুটবলার দলে নিতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রী যখন এরকম বলছেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ইনভেস্টর ইমামির পক্ষে আদিত্য আগরওয়াল, রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা। ক্লাবের পক্ষে দেবব্রত সরকার, মুরারি লাল লোহিয়া এবং রূপক সাহা। ইস্টবেঙ্গল কর্তদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, 'আমি কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বলছি না। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো। তার জন্য ভাল দল তৈরি করতে হবে। শুধু টাকা থাকলেই যে ভাল দল হয় এরকম নয়। আমাদের এখানেও ভালো ফুটবলার রয়েছে।'
তাদের খুঁজে বার করতে হবে। সেরকম হলে একটা টাস্ক ফোর্সও গঠন করতে পারে ইস্টবেঙ্গল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, 'মোহনবাগান আগেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের যখন আইএসএল খেলা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন একজনের মাধ্যমে কথা হয় ইমামি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। মহমেডান নিজেরই ইনভেস্টর খুঁজে নিয়েছে। যদি ওরা কিছু করতে না পারত, তাহলে নিশ্চয়ই আমি
সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতাম। আজকে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান আইএসএল খেলছে। একই সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার উঠে আসছে। ওরা খুবই বুদ্ধিমান। ভালো ফুটবলারদের দলে নিয়ে খুব কম দিনের মধ্যে আই লিগে উঠে এসেছে। এটা বাংলার পক্ষে ভাল। মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন। বাংলা সন্তোষ ট্রফি জিতেছে। আমি নিজের হাতে ফুটবলারদের চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছি। ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা আইডব্লুএল চাম্পিয়ন। এর পর এরা এশিয় পর্যায়ে খেলতে যাবে।'
আইডব্লুএল চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা ট্রফি তুলে দেওয়া ছাড়াও আলাপ করে ৫০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবন্ধনা দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন হওয় ফুটবলারদের। এরপরেই দেখানো হয় গৌতম ঘোষের পরিচালনায় ক্লাবের শতবর্ষের তথ্যচিত্র 'মশান।' অনুষ্ঠানটির সংযোজনা করেন গৌতম ভট্টচার্য।