আইএসএল শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইনভেস্টর সমস্যায় আরও জড়িয়ে পড়ল মহমেডান স্পোর্টিং। এবার শেয়ার না ছাড়লে, সাদা-কালো ক্লাবকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারে ইনভেস্টর শ্রাচি গ্রুপ। আবার শ্রাচি ও বাম্বারহিলকে নিয়ে এক টেবিলে বসে সমস্যা মেটাতে এখনও সফল হননি আমিরুদ্দিন ববিরা। পরিস্থিতি প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়ায়, রাজোর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে মহমেডান।
কোন কোন ব্যাপারে সমস্যা?
মহমেডান কর্তাদের সামনে বিকল্প কোনও ইনভেস্টর এখনও নেই। দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তির চেষ্টা করছেন তাঁরা। মহমেডান কার্যকারী সভাপতি কামারুদ্দিন বলছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা তাঁকে বলতে চাই আমরা। এই মাসে ওঁনার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী মাসে চেষ্টা করা হচ্ছে কথা বলার।' শেয়ার না দেওয়ায় শ্রাচি বলে দিয়েছে তারা আর মহামেডানে লগ্নি করবে না। শ্রাচি কর্তা তমাল ঘোষাল বলছেন, 'শেয়ার আমরা পাইনি বলেই ফান্ডিং বন্ধ জানিয়ে এফএসডিএল-কে চিঠি দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত শেয়ার না পেলে আমরা যে টাকা লগ্নি করেছি তা ফেরত চাইতে পারি।'
কত টাকা লগ্নি করেছে শ্রাচি?
শ্রাচির দাবি অনুযায়ী প্রায় ষোলো কোটি টাকা লগ্নি করেছে তারা। মহামেডান কর্তাদের দাবি, তাঁরা শেয়ার দিতে চাইলেও আরেক ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল কর্তা দীপককুমার সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শেয়ার দেওয়ার পদ্ধতি প্রসঙ্গে ক্লাব কর্তার জানিয়েছেন, শেয়ারের একটা অংশ বাঙ্কারহিলকে দেবেন তাঁর। বাঙ্কারহিল সেখান থেকে ভাগ দেবে শ্রাচিকে। ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন বলছেন, 'আমরা নতুন ইনভেস্টর খোঁজ করছি। সেই ইনভেস্টর এলে বান্ধারহিলের সঙ্গে বসিয়ে দেব। কিন্তু কথা চললেও এখন পর্যন্ত কেউ চূড়ান্ত করেনি।'
অন্যদিকে প্রাচির টাকা ফেরত চাওয়ার কথা শুনে মহমেডান সভাপতি বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী ওদের বাঙ্কারহিলের থেকে শেয়ার নেওয়ার কথা। সেটা ওরা ব্যঙ্কারহিদের থেকে বুঝে নেবে।' এমন জটিল পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীই ভরসা মহমেডান কর্তাদের।
টাকা না পেয়ে ফিফার দারস্থ ফুটবলাররা
এমনিতে টাকা না পেয়ে ফিফার দারস্থ মহমেডানের কয়েকজন ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলার। প্রাক্তন কোচ আজে চেরনিশডও ফিফায় চিঠি লিখেছেন। তাতে মহমেডানের মতো ঐতিহাশালী ক্লাবের সম্মানহানি হয়েছে। সেটা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে সাদা-কালো কর্তাদের। সম্প্রতি সুপার কাপের আগে ক্লাব কর্তারা টাকা তুলে দলকে খেলতে পাঠিয়েছেন ভুবনেশ্বর। সেই সময় নিজেরাই ফুটবলারদের কিছু বকেয়া টাকা দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও ফুটবলারদের বিশাল অঙ্কের টাকা দেওয়া বাকি। মহমেডানের এই টাকা এখন কে দেয়, সেটাই দেখার।