মহমেডান স্পোর্টিং-এর (Mohammedan Sporting) ছোটদের ১১ গোলের মালা পড়াল মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) ছোটরা। ম্যাচের স্কোরলাইন ১১-০। বাঁশবেড়িয়ার কিশোর সংঘের মাঠে যেন ফুল ফোটাতে শুরু করে মোহনবাগান। গোল করা শুরু হয় ম্যাচের ৩ মিনিট থেকেই। গোলটি করেন নীরব রায়। এরপর ৯ মিনিটে, ফের গোল আসে তাঁর পা থেকে। প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যেই ৬-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। রাজ মুদির ২টি গোল ছাড়াও মহামেডানের (Mohammedan Sporting) জালে বল জড়িয়ে দেন কার্তিক হেমব্রম এবং সিদু সোরেন। এদিন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের নয় ফুটবলার গোল পেয়েছেন।
৯ মিনিটে ৩ গোল
অন্যদিকে, খেলার ৩৫ থেকে ৪৪ মিনিটের মধ্যে আরও তিনটি গোল এসেছে। এবার গোল করেন সাগ্নিক কুণ্ডু, সৈয়দ বাশির আনোয়ার এবং অনুব্রত দাস বাউল। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন অর্চিষ্মান দাস এবং জিয়ন হাঁসদা। সবমিলিয়ে, মোহনবাগান এই ম্যাচে জয় পায় ১১-০ গোলের ব্যবধানে।
লিগ শীর্ষে মোহনবাগান
এই জয়ের জেরে দুই ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট হল ৬। এদিকে গোল পার্থক্য ১২। শুধু তাই নয়, লিগ শীর্ষেও রয়েছে তারা। গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সাগ্নিক কুণ্ডুর গোলে জেতে মোহনবাগান। ওদিকে আবার অন্য ম্যাচে বিধাননগর মিউনিসিপাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সঙ্গে বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়েছে।
রাজদীপের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল মোহনবাগান
ঘরের ছেলের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। নিজেদের যুব দলের এক ফুটবলারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। রাজদীপ পাল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ম্যাচে গোলের পর গোল করে চলেছে সে। বাঙালি স্ট্রাইকার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাই তাঁকে সই করিয়ে ফেলল সবুজ-মেরুন।
গত কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে রাজদীপ। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের অনুধু ১৫ প্রতিযোগিতায় ১৩ ম্যাচে ২৪. গোল করে প্রথম নজরে পড়ে সে। এআইএফএফের জুনিয়র লিগে (অনূর্ধ্ব-১৫) এখনও পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে বাগান। প্রথম ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক রাজদীপের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে মহমেডানকে ৫-০ হারায় সবুজ-মেরুন। সেখানে হ্যাট্রিক-সহ চার গোল করে রাজদীপ। অর্থাৎ, চলতি মরশুমে তার নামের পাশে ১৫ ম্যাচে ৩১ গোল সঙ্গে আবার ১৪ অ্যাসিস্ট। এমন প্রতিভাকে তারকা বানাতে মরিয়া মোহনবাগান।