বার্ষিক সাধারণ সভা (Mohun Bagan Annual General Meeting) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি মোহনবাগান ক্লাবে (Mohun Bagan Club)। ২০২২ সালে বেনজির অশান্তির সাক্ষী থেকেছিল সবুজ-মেরুন ক্লাব। আর আজ ফের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে মারামারিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল দুই পক্ষকে। প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose) সঠিক সময় নির্বাচনের দাবি তোলার পরেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি।
কী নিয়ে ঝামেলা?
মোহনবাগান ক্লাবের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তের (Debashish Dutta) কাছে দ্রুত নির্বাচন করার দাবি জানান প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয়। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন, কেন নির্বাচন দ্রুত করা প্রয়োজন। তবে দেবাশিস গোষ্ঠীর দাবি এখনই নির্বাচন সম্ভব নয়। সে কথা মঞ্চ থেকে জানিয়েও দেন দেবাশিস। নির্বাচন আরও পরে হবে বলে জানান তিনি। দুজনেই দুজনের পক্ষে যুক্তি দিতে থাকেন। তখনই হঠাৎ গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। একে অপরের দিকে চেয়ার নিয়ে তেরে যান। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, দেবাশীষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু গোষ্ঠীর মধ্যেই গন্ডগোল বাঁধে। যদিও সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি ক্লাবের দুই কর্তা। উত্তেজনার পরিস্থিতির সময়, গন্ডগোল না করার জন্য অনুরোধ করেন দেবাশীষ দত্ত। তবে তাতেও কাজ হয়নি এজিএম থেকে বেরিয়ে মোহনবাগানের এক সদস্য জানান এটা ক্লাব এটা মন্দির এইভাবে গন্ডগোল উচিত নয়। কিছুদিন আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছিল দুই গোষ্ঠী। বার্ষিক সাধারণ সভায় যে সে নির্বাচনের দাবি উঠবে তা সকলেরই জানা ছিল। তা হলে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হল না? সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ব্যবস্থা নিলেই হয়ত, এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচানো যেত মোহনবাগান ক্লাবকে।
২০২২ সালে কী ঘটেছিল?
২০২২ সালে টুটু বসু গোষ্ঠীর সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রয়াত অঞ্জন মিত্র। সে সময় দেবাশীষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু দুই জনেই ছিলেন টুটু বসু গোষ্ঠীতে। সেই সময় মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এআইএফএফ-এর বর্তমান সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সেবারেও কলঙ্কিত হয়েছিল মোহনবাগান লন। আর এবার ফের একদা দুই 'বন্ধুর' দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবু।