মোহনবাগানে লিগ শিল্ড আসছে তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে সবুজ-মেরুন ক্লাব এখন উত্তপ্ত নির্বাচন নিয়ে। বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশৃঙ্খলার পর, শনিবার ভোটের দামামা বেজে গেল। সচিব দেবাশিস দত্ত অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত শনিবার কার্যকরী কমিটির সভা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সেই সভা অনুষ্ঠিত হল এই শনিবার। ঠিক সাতদিনের মধ্যে।
কী সিদ্ধান্ত গোল সভায়?
ক্লাব সংবিধানের নতুন নিয়ম মেনে বার্ষিক সাধারন সভায় দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেছিলেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। শাসক গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডেকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সেখানে সৃঞ্জয় বসু সহ তথাকথিত বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে। গত শনিবার না হলেও এদিন সৃঞ্জয় বসু কার্যকরী কমিটির সামনে নির্বচন চেয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে বক্তব্য পেশ করেন। কোন্ নিয়মে নির্বাচন হবে, ক্লাবের নিজস্ব পুরোনো নিয়ম মেনে নাকি বর্তমানে সোসাইটি অফ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় চলে আসা নিয়মে, এই নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
আসরে কুণাল ঘোষ
শাসক গোষ্ঠীর একাংশের মত, আগস্ট পর্যন্ত এই কমিটি কাজ চালাতেই পারে। অন্য দিকে, বিরোধী গোষ্ঠীর মতে, সোসাইটি অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে ৩ বছরের মেয়াদ পূরণের পর একদিনও এই কমিটি ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এই নিয়ে জট ছাড়াতে এগিয়ে আসেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ম মেনে নির্বাচন অবশ্যই জরুরি। তার জন্য বোর্ড তৈরি হোক। আর কোন্ নিয়মে হবে, তার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কিশোর গুপ্তর পরামর্শ নেওয়া উচিত।' কার্যকরী কমিটির সদস্যরা কুণালের এই প্রস্তাব মেনে নেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের চেয়ারম্যানশিপে ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন হয়েছে। সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, এদিন সদস্যদের একাংশের মত কার্যকরী কমিটি শুনেছে। মোহনবাগান ক্লাবে সব মিলিয়ে ১০ হাজার সদস্য আছেন। তাঁদেরও বক্তব্য পেশ বা মত প্রকাশের সুযোগ পাওয়া উচিত। তাঁদের কথা ভেবেই ১০ থেকে ১৫ দিন মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হবে।