ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচনের নিয়ম নীতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan Club) প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose)। শুধু তাই নয়, চেয়ার তুলে দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল সৃঞ্জয় গোষ্ঠী। এই ঘটনায় ফের উত্তাপ ছড়িয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়েছিল, ক্লাবের কার্যকরী কমিটিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে শোনা হবে সৃঞ্জয় বসুর বক্তব্য।
২২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিটির ১৭তম কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে সৃঞ্জয় ক্লাবের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন নিয়ম নীতি তুলে ধরে কমিটির সদস্যদের সামনে ব্যাখ্যা দেন। মিটিং শেষে ক্লাব সচিব জানান, সৃঞ্জয় বসুর পাশাপাশি আরও তিনজন ক্লাব সদস্য নির্বাচনের নিয়ম নীতি নিয়ে নিজেদের মতো করে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ক্লাব চাইছে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বাকি সদস্যদের মধ্যেও কেউ কোনও বক্তব্য বা পরামর্শ দিতে চাইলে দিতে পারেন। সেদিন মিটিংয়েই ক্লাবের অন্যতম সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ প্রস্তাব দেন, নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের বিভিন্ন মত পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর কাছে। তিনিই আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে জানাবেন, ক্লাবের নির্বাচন ঠিক কবে হতে পারে?
এদিন, ক্লাবের তরফে সচিব দেবাশিস দত্ত এক নোটিস জারি করে জানিয়েছেন, কোনও সদস্য নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ চাইলে লিখিত আকারে দিতে পারেন। তবে এই লিখিত মতামত জানাতে হবে ৭ মার্চের মধ্যে। যার অর্থ ৭ মার্চের পর ক্লাব সদস্যদের নির্বাচন সংক্রান্ত মতামত জানাতে হবে ৭ মার্চের মধ্যে। যার অর্থ ৭ মার্চের পর ক্লাব সদস্যদের নির্বাচন সংক্রান্ত মতামত পাঠিয়ে দেওয়া হবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর কাছে।
অর্থাৎ সঠিক সময়েই মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, আইএসএল-এর ম্যাচে দুই শিবিরই নির্বাচনের প্রস্তুতি যে শুরু করে দিয়েছে তা বোঝা গিয়েছিল। টিফো ব্যানারে কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচন ঘিরে ফের উত্তপ্ত হতে পারে ক্লাবের পরিস্থিতি। দুই পক্ষই তা এড়াতে চাইলেও, শেষ অবধি তা সাধারণ সদস্য মানবেন কিনা সেটাই দেখার।